ইতিহাস সৃষ্টি করে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম শিরোপা দেশকে এনে দিয়েছেন সাবিনারা। শিরোপসহ দেশের মাটিতে পা রাখার পর পরই ফুলেল শুভেচ্ছা পান বাঘিনীরা।
এর পর ছাদখোলা বাসে রাজধানীতে পথে পথে ফুটবলপ্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন গোলাম রাব্বানীর শিষ্যরা। এ ছাড়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে রাতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন সারেন সাবিনারা।
ঢাকার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে এবার সাতক্ষীরায় পা রাখলেন সাফজয়ী অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দিতে আগেই সব প্রস্তুতি সেরে রাখেন সাতক্ষীরাবাসী।
শুক্রবার সেখানে সাবিনা পৌঁছতেই বর্ণাঢ্য সংবধর্না দেওয়া তাকে। এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউসে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে সাতক্ষীরা শহরে এক ঘণ্টা দীর্ঘ এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন সাবিনা। পুরো শহর প্রদক্ষিণ শেষে সাবিনাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এমন সংবর্ধনায় উচ্ছ্বাসের আবেগে যেন ভাষাই হারিয়ে ফেলেন সাবিনা।
সাফজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘সাতক্ষীরার মানুষ এভাবে আমাকে সংবর্ধনা জানাবে এটি কখনো কল্পনা করতে পারিনি। আমার জন্য এত আয়োজন দেখে আমি অভিভূত। আমি সাতক্ষীরাবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম। আমাদের এ সাফল্য বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।’
আজ সাবিনা সংবর্ধনায় সিক্ত হলেও সাতক্ষীরার আরেকজন সাফজয়ী ফুটবলার মাসুরা খাতুনকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়া যায়নি। কারণ নিজ জেলায় এখনো পা রাখেননি মাসুরা। সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সাতক্ষীরা এলে তাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। সেই প্রস্তুতিও সেরে রাখা আছে তাদের।
তা ছাড়া সাবিনা ও মাসুরাকে একত্রে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
বাংলা৭১নিউজ/আরএম