সাতকানিয়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে অবৈধ ২টি ইটভাটা। বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় সহযোগিতায় ছিলেন র্যার্ব -৭ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
বুধবার বিকাল তিনটা পযর্ন্ত তেমুহনী এলাকার এস বি এম নামের ইটভাটা,মাদারবাড়ী এলাকার সেভেন বি এম কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। একই এলাকায় মেসার্স নুর হোসেন ব্রিকসে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এর পরিচালক মোয়াজ্জাম হোসেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটাগুলো গুড়িয়ে দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতেও পরিবেশের ছাড়পত্র নেই, জেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন, পাহাড় কেটে পরিবেশ নষ্ট করে কাঠ পুড়ানো সব ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাতদিনের সময় দেন। আদালতের আদেশে একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে ২৯ নভেম্বর রিট করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
এদিকে ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় ভিন্নমাত্রার অভিযানের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট এসএম আলমগীর বলেন, লোহাগাড়ায় ও আবার অভিযোগ চলবে। তবে সাতকানিয়ার একই এলাকায় (এনএইচবি) ব্রিককে গুড়িঁয়ে না দিয়ে জরিমানা করায় চন্দনাইশের অভিযানে সাধারণ মানুষের মনের প্রশ্নকে আরও গুরুত্ব দেয়ার সময় এসেছে বলে মত দিয়েছেন অনেকে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি