শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প গ্রামীণফোনের এজিএমে ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা এ জে মোহাম্মদ আলীর মরদেহ ঢাকায়, সুপ্রিম কোর্টে জানাজা আজ পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে তিন নারীসহ নিহত ২০ সিলেটে আগাম বন্যার শঙ্কা, বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি গাজীপুরে ২ ট্রেনের সংঘর্ষ ২২ ঘণ্টা পরও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান কানাডায় শিখ নেতাকে খুনের ঘটনায় ৩ ভারতীয় গ্রেফতার তামিম-হৃদয়ের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দাপুটে জয়ে শুরু বাংলাদেশের বনানীতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট মুন্সিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের ৩ জন নিহত দেড় বছর পর শনিবার বিদ্যালয়ে ক্লাস, মিশ্র প্রতিক্রিয়া অভিভাবকদের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৬২২ ফিলিস্তিনি নিহত দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯
  • ৩৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সরকার আন্তরিক। আমরা প্রতিনিয়ত এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছি। আশা রাখি দ্রুতই এর একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারবো। খুনিরা দ্রুত ধরা পড়বে। এই দীর্ঘ সময়েও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় আমি নিজেও বিব্রত বোধ করছি।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে গেলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এই কথা বলেন। দুপুর ২টার দিকে স্মারকলিপি দিতে যান সাংবাদিক নেতারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাংবাদিক নেতারা বলেন, আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুততম সময়ে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এবং প্রকৃত খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি যে তারিখ নির্ধারিত রয়েছে সেই তারিখেই যেন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। আর যেন সময় নষ্ট করা না হয় সেজন্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘যে কোনও হত্যার বিচার পাওয়া নাগরিকের অধিকার। আর সেই অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় বড় হত্যা রহস্য উন্মোচন ও অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করেছে। সাগর-রুনি হত্যার কোনও কূল কিনারা তারা করতে পারবে না এটা আমরা বিশ্বাস করি না। কোন অদৃশ্য শক্তি বা বাধার কারণে এই হত্যার তদন্তের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করা হচ্ছে সেটাই এখন বড় রহস্য।’

স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, প্রচার ও প্রচাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ বাসায় খুন হন। পরে রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত সাত বছরে আদালতের ধার্য করা ৬২টি তারিখেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। বর্তমানে মামলার তদন্ত করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গত ৯ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেন।

সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণেই হচ্ছে না সাগর-রুনি হত্যার বিচার

সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে সাগর-রুনি হত্যার বিচার হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে মেঘের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিলেও বিচারহীনতা স্পষ্ট। আজ মা-বাবা হত্যার বিচারের ব্যাপারে মেঘ কথা বলতে চায় না। কারণ সাত বছর ধরে সে দেখে এসেছে রাষ্ট্রীয় বিচারহীনতা।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে একথা বলেন সাংবাদিক নেতারা।

ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণ সাগর-রুনি হত্যা। অনেক কথা, অনেক ব্যথা নিয়ে আমরা চলছি। গত সাত বছর ধরে শুধু তদন্তই চলছে। এই দিনটি স্মরণসভায় পরিণত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামও করেছি লাভ হয়নি। গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন তাও ভাবনার বিষয়।

তিনি বলেন, ৭০ বছর আন্দোলন করা প্রয়োজন হলেও বিচার নিশ্চিত করা হবে, বিচার করতে হবে। প্রয়োজনে যুগপথ আন্দোলন। এজন্য দরকার সাংবাদিকদের ঐক্য। অনৈক্যের কারণেই আমরা সাংবাদিক হত্যার বিচার পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রীকে সুবিধাবাদীরা হয়তো বুঝিয়েছে, নইলে এত দিনে সাগর-রুনি হত্যা বিচার হতো।

ইলিয়াস হোসেন বলেন, রুনির ভাই নওশের রোমান, সাগর-রুনির ছেলে মেঘ সমাবেশে উপস্থিত কিন্তু তারা কথা বলবে না, বলতেও চায় না। কথা বলেই বা কি লাভ? সাত বছরে তো বিচারের ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া যায়নি।

সংগঠনের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাগর-রুনিকে আর ফিরে পাব না। কিন্তু কারা, কেন হত্যা করলো তাদের স্বরূপ দেখতে পাব- তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটামে এমনটাই বিশ্বাস করেছিলাম। এরপর কত দিন, কত বছর গেলো, বিচার পেলাম না। খুনীরা আজও ধরা পড়লো না। স্পিকার আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু বিচার পাইনি। তবে দেখেছি ৬৩ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছানোর খবর।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, সরকারের দায়িত্ব বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তারা।

আরেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, সরকার পারে না এমন কিছু নেই। সাগর-রুনি হত্যার বিচারে সরকার দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এই ব্যর্থতা দেখতে চাই না।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা সাংবাদিকরা কেন তাদের বাধ্য করতে পারছি না? আমাদের শপথ নিতে হবে, সাগর-রুনির রক্তের বদলা আমাদের নিতে হবে। আর সেটা করতে হলে দলীয় লেজুরবৃত্তি, বিভাজন বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। রিপোর্টার্স ইউনিটি কর্মসূচি দিলে আমরা পাশে থাকব।

ডিআরইউয়ের সিনিয়র সদস্য মশিউর রহমান বলেন, অনেক যন্ত্রণা এই মাইক্রোফোন ধরা। আজ পর্যন্ত সবাই সাংবাদিক সমাজের সাথে চিটিংবাজি করেছেন। অনশন করেছি, রাস্তায় নেমেছি, স্বরাষ্টমন্ত্রীর দরজায় আঘাত করেছি। বিচার না হবার দায় প্রধানমন্ত্রীর।

সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি সাংবাদিকদেরই ভাঙতে হবে। আমরা আর মানবো না। যারা তদন্ত করছেন তাদেরকে চাপ দিতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ বহুমুখী সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ মতলু মল্লিক, ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম, ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, নির্বাহী সদস্য রাশেদুল হক, সিনিয়র সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস মানু সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূর ইসলাম হাসিব, দফতর সম্পাদক জেয়াদ হোসেন চৌধুরী, দিপ্ত টিভির সিনিয়র রিপোর্টার বায়েজিদ আহমেদ, সারাবাংলার সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম সামদানি প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে ডিআরইউসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com