বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতাল চলাকালে শাহবাগ থানার সামনে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগ থানায় গিয়ে রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদারের কাছে এ দাবি জানান তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা এবং সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী। বিএফইউজের সভাপতি সাবান মাহমুদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও মহাসচিব ওমর ফারুক এবং ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, এ ধরনের হামলা পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে দূরত্ব ও বিরোধ সৃষ্টি করবে।
ডিসি সাংবাদিক নেতাদের আশ্বস্ত করেন ও তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) এরশাদ মণ্ডলকে সাসপেন্ড করার কথা জানান। এসময় নেতারা জানতে চান দুই সাংবাদিককে কারা পিটিয়েছেন।
ডিআরইউ’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, একজনকে সাসপেন্ড করলে হবে না, জড়িত সবাইকে বহিষ্কার করতে হবে।
এ ব্যাপারে ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। ব্যক্তিগতভাবে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা এই ঘটনার ফুটেজ পেয়েছি। এগুলো তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি জানান, মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) কর্তৃপক্ষ ও মিরপুর বিভাগের ডিসিকে জানানো হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, বেলা পৌনে ২টার দিকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হরতালে দুইজনকে আটক করে পুলিশ।
এসময় তাদের ছবি তুলতে গেলে বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান আবদুল আলিমকে ফেলে বেধড়ক পেটান কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে রিপোর্টার কাজী ইশান বিন দিদারও হামলার শিকার হন।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। আগামী দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন এডিসি (অ্যাডমিন) নাবিদ কামাল শৈবাল, এডিসি রমনা আজিমুল হক ও এসি রমনা ইহসানুল হক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার জানান।
বাংলা৭১নিউজ/আরএস