সংবাদকর্মী থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম নারী মেয়র হলেন আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যা। দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের দিন যখন ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয় তখন জেলার বেশিরভাগ মানুষই মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী ও জাতীয় একটি দৈনিক (আমাদের সময়) পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি বন্যার মনোনয়ন পাওয়াকে গুজব বলেই মনে করেছিলেন।
মূলত, হ্যাভিওয়েট প্রার্থী তো ছিলেনই না, আলোচনার বাহিরে ছিলেন মনোনয়ন পাওয়ার আগ পর্যন্ত। তবে গত পৌর নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে মোননয়ন পাওয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ তাহমিনা আক্তার মোল্লা এবারও হ্যাভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কার প্রার্থীতা পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও কেন্দ্রের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে মনোনয়ন পান আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যা।
তিনি চতুর্থ ধাপে রবিবার ইভিএম পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে ২৬ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম শরীফ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ ভোট। অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের আনোয়ার হোসেন (হাতপাখা) পেয়েছেন ১ হাজার ৬৩ ভোট।
রোববার রাতে ফলাফল ঘোষণার পর এবং সোমবার সকাল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নবনির্বাচিত পৌর মেয়র আঞ্জুমানা আরা বেগম বন্যাকে দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে মানুষের ঢল নামে। এসময় পৌর সভার উন্নয়নে তিনি নিবেদিত কর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ রেখে কাজ করবেন বলে আবারও আশাবাদ ব্যক্ত এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী আঞ্জুমানা আরা বন্যা ব্যক্তি জীবনে অনেক আগেই ল’ পরীক্ষা পাশ করেছেন, তাঁর স্বামী এটিএম শামসুজ্জোহা, তিনিও একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত। তাঁরা এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক ও জননী।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের ৩ জন মেয়র পদে এবং ৫৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে