মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যশোরে মরুর উত্তাপ, দেশের সর্বোচ্চ ৪৩.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড ‘প্রবাসীদের সমস্যা আমার জানা, সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক শিরীন পারভীন ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত ২০ মে থেকে ৬৫ দিন সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার বই দিলো বিকাশ ফিলিস্তিনিদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন জার্মান রাষ্ট্রদূত বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর বৃষ্টিতে সিলেটে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫০৭৬০ সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার দাবদাহে দ্বিগুণ সেচ খরচে দিশেহারা চাষিরা রেলওয়ের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় রাশিয়া ১৫ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে ৩৬ বছরে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু বন্যা আতঙ্কে দ্রুত ধান কাটছেন হাওরের কৃষকরা ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকায় সড়ক নির্মাণ ভরিতে আরও ৪২০ টাকা কমলো সোনার দাম পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ

সাংবাদিক তোফাজ্জলের ছেলে নাহিদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আহসান হাবিব নাহিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ডিআরইউ চত্বরে সচেতন সাংবাদিকের ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও নাহিদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানান।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. বদরুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক অর্থ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রেজাউর রহিম, সিনিয়র সাংবাদিক আশিষ কুমার দে, সিনিয়র সাংবাদিক আবু আলী ও রাশিম মোল্লা প্রমুখ।

সমাবেশে ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ডিআরইউর নির্বাচনের আগের দিন একজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ছেলেকে র‌্যাব-৮ এর তুলে নিয়ে যাওয়াটা সাংবাদিকদের জন্য সুখকর নয়। এ নিয়ে সাংবাদিকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। ডিআরইউ নির্বাচনে প্রার্থীকে চাপের মধ্যে রাখতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘বরিশালের র‌্যাব-৮ মাদারীপুরের রাজৈর থানার এক মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে নাহিদকে গ্রেফতার করেছে। নাহিদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা। সে কখনই মাদারীপুরে যায়নি। অথচ র‌্যাব তাকে মোহাম্মদপুরের আদাবর থেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুরের মামলায় জড়ানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বুঝতে পারি এখানে রহস্য রয়েছে। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। এই দায়িত্ব ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সব সদস্যকে নিতে হবে।’

ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘নাহিদের বয়স মাত্র ২৩ বছর। কিছুদিন আগেই অনার্স শেষ করেছে। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা এর প্রতিবাদে নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে গণ স্বাক্ষর করেছে।’

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম বলেন, ‘বরিশাল র‍্যাব-৮-এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিএসসি) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেখ ইয়াছিন আলী ঢাকা থেকে একজন সাংবাদিকের ছেলেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুরে নিয়ে গেছেন। সেই ইয়াছিন আলীকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইয়াছিনের কথার পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক (সিও) অ্যাডিশনাল ডিআইজি জামিল হাসানকে ফোন দিলে তিনি র‌্যাব-৮ এর মেজর জাহাঙ্গীরের কথা বলেন। মেজর জাহাঙ্গীর কিভাবে ২০২০ সালের ১৫ জুনে মাদারীপুরের মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে একজন সাংবাদিকের ছেলেকে গ্রেফতার করে মাদারীপুর নিয়ে যায়। বিষয়টি অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ।’

তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে মাদারীপুরে রাজৈর থানার মামলায় চার থেকে পাঁচজন আসামির নাম রয়েছে। সেখানে মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি ১০ থেকে ১২ জন। অজ্ঞাতনামা মামলা বলতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ধরনের অস্ত্র। কার নির্দেশনায় তিনি এই অস্ত্র ব্যবহার করে নাহিদকে আটক করেছেন তা আমাদের বের করতে হবে।’

সিনিয়র সাংবাদিক আশিষ কুমার দে বলেন, ‘আবহাওয়া খারাপ থাকায় আজকের এই প্রতিবাদ সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা ঠিকমতো উপস্থিত হতে পারেননি। তবুও এই বৃষ্টির মধ্যে যারা এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি রাতেই একাত্তর টেলিভিশনের শিরোনাম দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। আমার বিশ্বাস আগামীতে আমাদের সহকর্মীরা এই প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে আরও জোরদার করবেন।’

তিনি বলেন, ‘নাহিদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় করা হয়েছে, সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। আমার বিশ্বাস এই প্রতিবাদ সমাবেশ সরকারকে জানান দেবে, সাংবাদিক সমাজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার থাকবে। নাহিদের নিঃশর্তে মুক্তি চাই। একইসঙ্গে তাকে যে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটিরও সুষ্ঠু তদন্ত হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যারা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে এই প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেননি, তারাও কিন্তু নিরাপদ নয়। নাহিদের মুক্তি যতদিন দেওয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত আমি এ ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশে থাকবো।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক অর্থ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০২০ সালের ১৫ জুনের মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে মাদারীপুরের একটি মামলায় গত ২৯ জুন ঢাকা থেকে নাহিদকে গ্রেফতার করে নিয়ে মাদারীপুর যায় র‌্যাব-৮। কোন রহস্যের কারণে তাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুরে নেওয়া হয়েছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। অজ্ঞাতনামা হিসেবে র‌্যাব যাকে-তাকে গ্রেফতার করবে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।’

সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অরাজগতা এখনই থামাতে হবে সরকারকে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আজ যেমন তোফাজ্জলের ছেলে নিরাপদ নয়, আগামীতে আপনিও নিরাপদ থাকবে না।’

ডিআরইউ’র সব সদস্যকে এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নাহিদকে যতদিন পর্যন্ত নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হবে, ততদিন পর্যন্ত এই প্রতিবাদের সঙ্গে থাকবো। কারণ একজন সন্তানের বাবা হিসেবে, একজন সন্তানের অভিভাবক হিসেবে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এটি আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির আপ্যায়ন সম্পাদক মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আজকে সাংবাদিক তোফাজ্জলের ছেলেকে র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। আগামীতে আপনার-আমার ছেলেকে র‌্যাব গ্রেফতার করবে। সেই কারণে ডিআরইউ সব সদস্যের উচিত হবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ জানানো।’

ডিআরইউর সাবেক কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ডিআরইউ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর ছেলেকে নির্বাচনের আগের দিন র‌্যাব-৮ মাদারীপুরে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি গভীর ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র শুধু ডিআরইউর সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে নয়, গোটা ডিআরইউর বিরুদ্ধে। নাহিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই আন্দোলন বেগবান করতে হবে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. বদরুল আলম চৌধুরীর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, ‘নাহিদের বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের মামলা না থাকে তাহলে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক। নাহিদকে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিআরইউ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমি প্রত্যাশা করে ছিলাম, ডিআরইউর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা জানি না কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে ডিআরইউ বিবৃতি দেওয়া বিরত রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি এই সংগঠনের সব সদস্য একই ছাতার নিচে থাকবে। আসুন আমরা সবাই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। নাহিদের মুক্তির জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com