ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর পত্রিকায় প্রকাশ করায় ওই সাংবাদিককে ‘মামলা দিয়ে সাইজ করার’ ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ঘোষণা দেওয়ার কয়েকমাস পর ওই পত্রিকার সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা দিয়ে মোট পাঁচটি মামলা দেন হবিরবাড়ি বিট অফিসার আশরাফুল আলম।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে ভালুকা উপজেলা পরিষদের সামনে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে ভালুকার সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
সূত্রে জানা যায়, হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ও ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন পত্রিকাটির ভালুকা প্রতিনিধি ওমর ফারুক তালুকদার। প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এর জেরে ওই পত্রিকার সাংবাদিকের নামে ‘মামলা দিয়ে সাইজ করার’ ঘোষণা দেন হবিরবাড়ি বিট অফিসার আশরাফুল আলম।
এ ঘটনার কয়েকমাস পরে বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বাদী হয়ে সাজানো ঘটনা লিখে মোট পাঁচটি মামলা করেছেন ওই সাংবাদিকের নামে। এ ঘটনায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন। মামলা প্রত্যাহার ও বিট অফিসার আশরাফুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে একজন বিট অফিসার মামলা দিয়ে সাংবাদিককে সাইজ করার ঘোষণা দিয়ে সর্ম্পূর্ণ বানোয়াট পাঁচটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে আমারা হতভম্ভ হয়েছি। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদন্ত করার দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।
সাংবাদিক যদি বনের জমি দখলের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে বিনা অপরাধে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। বিট অফিসার আশরাফুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে স্থানীয় সাংবাদিকরা একাট্টা হয়ে দুর্নীতিবাজ বন কর্মকর্তা আশরাফুল আলমের বিষয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক ওমর ফারুক তালুকদার বলেন, অসাধু বন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর প্রকাশ করার কারণে হবিরবাড়ি বিট কর্মকর্তা আশরাফুল আলম আমার নামে সাজানো ঘটনার দিয়ে পাঁচটি মামলা করেছেন। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে যেসব মামলায় আমাকে জড়ানো হয়েছে এসব কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি সবগুলো মামলা প্রত্যাহার ও বিট অফিসার আশরাফুল আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
হবিরবাড়ি বিট অফিসার আশরাফুল আলম খানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিব না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, মামলা দেওয়ার বিষয়টা বিট অফিসার দেখেন। এটা তিনিই ভালো জানেন কী অপরাধে ওইসব মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে