বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠিত করা। আমার বিশ্বাস, দেশের এই সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে পারে। আর এ কর্মযজ্ঞ যথাযথভাবে সম্পাদনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় হবে দক্ষ কারিগর।’
আগামীকাল জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাট দেশের ৩য় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারীখাত।এখাতে বর্তমান সরকারের চলমান পৃষ্ঠপোষকতা এর হারানো ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার এবং অধিক সমৃদ্ধশালী করবে বলে আস্থা রাখি। আমরা পাটকে ২০১৬ সালে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং এ সংক্রান্ত বিধিমালা ইতোমধ্যে দেশের পরিবেশ রক্ষায় ও জনস্বার্থ সুরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা পাট আইন, ২০১৭ প্রণয়ন করেছি। ফলে দেশে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটখাতের সকল স্টেক হোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত হয়েছে। কৃত্রিম পলিথিনের পরিবর্তে আজ দেশে পাট থেকে পলিথিন সদৃশ পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব সুন্দর ‘সোনালি ব্যাগ’ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাটচাষীরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আমাদের মাটি পাট চাষের উপযোগী। সুতরাং আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফলাফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার ও তার বাজার সম্প্রসারণ, সরকারি-বেসরকারি সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাটের সোনালি সময় পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
দেশব্যাপী তৃতীয়বারের মতো ‘জাতীয় পাট দিবস’ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ আয়োজন বাংলার পাটচাষীসহ পাটের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের শ্রম ও অর্জনের অভূতপূর্ব স্বীকৃতি।’
বাণীতে তিনি ‘জাতীয় পাট দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসই