সরকার সকলের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন (টিকা) নিশ্চিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা জানান।
বৃহস্পতিবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ভ্যাক্সিনের বর্তমান অবস্থা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ চব্বিশ বছর বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি জাতিকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বসেরা সংবিধান। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে কোভিডকালীন সময়ে বাংলাদেশের জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক গতিতে চলছে। করোনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র জনগণ যেন অনাহারে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য সঠিক সময়ে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করেছে সরকার।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, সুইডেন বাংলাদেশের অনেক পুরনো বন্ধু। সুইডেনের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। যা ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার বাল্যবিবাহ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সাইক্লোন ও ফ্লাড সেন্টার নির্মাণের পাশাপাশি বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর যথাযথ মূল্যায়ন ও ক্ষমতায়ন, সকলের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবররাহ নিশ্চিতকরণে নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার এসকল প্রচেষ্টায় সুইডেন সরকার সর্বদা পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে বলেন, করোনাকালে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের গৃহীত কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রার ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস