রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইউক্রেনে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়ার পাশে থাকবে উ. কোরিয়া ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৬ এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত বৈদ্যুতিক খুঁটিতে কাজ করার সময় অগ্নিদগ্ধ শ্রমিক সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা রংপুরে জাতীয় পার্টির লাঠি মিছিল, ভিপি নুরকে হুঁশিয়ারি হিমালয়ের আমা দাবলাম পর্বত জয় করলেন তানভীর ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা দাবি পেশ ‘অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা হারিয়েছে’ ১০ মাসে ডেঙ্গুতে ৩০০ মৃত্যু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ সেনাবাহিনী-পুলিশের গাড়িতে আগুন, তিনজন কারাগারে রাজবাড়ীর ডিসি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাহিদুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে: খামেনি মেঘনায় স্পিডবোট-ট্রলার সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত মধ্যপ্রাচ্যে বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র ৩ নভেম্বর ঢাকার রানওয়ে স্পর্শ করবে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স সরকার কোনো গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নয় : জ্বালানি উপদেষ্টা ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

সরকার টেনে নামানোর হুমকি, এখন কৌতুক : তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকে বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আর সরকারকে টেনে নামাতে বহুবার চেষ্টা করে তারাই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে বিএনপি এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যুষে খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এবং তারেক জিয়ার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।’ 

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়ায় মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে— বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত আওয়ামী লীগের পতন দ্রুত— মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ক্ষমতাই থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেওয়া না দেওয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আগামী আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছেন বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে, সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল। এবার তারা সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য। নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য প্যান্ডেলসহ যে সমস্ত স্থাপনা করা হয়েছিল, সেগুলো ভাঙচুর করেছে। যেভাবে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি। এটার জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’ 

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন ঢাকা বারের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই বুঝতে পেরেছে এই নির্বাচনে তাদের জয়লাভের আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই, এরপর তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে এবং নির্বাচনী পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাংচুর করেছে।’ 

এরআগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেওয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগেরমত জলাবদ্ধতা আর হবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে পৌনে এক কোটি মানুষ। আমরা পৌনে এক কোটি মানুষ সবাই মিলে যদি ময়লা করি, সিটি কর্পোরেশনের ৪ হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা সম্ভব না। সুতরাং আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকে না। যেটা চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে সব জায়গায় হচ্ছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থুথু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি, কোন দেশে আমাদের মতো যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার এই অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এই অভ্যাস থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।’ 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com