বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে প্রতিনিয়ত হাজিরা দিতে হচ্ছে। যেদিন তার হাজিরা থাকে, সেদিন মনে হয় যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। সরকারের ভয়টা কীসের? ভয় হলো জনগণকে নিয়ে। কারণ, নেত্রীর সঙ্গে যে কোটি জনগণ আছে তারা যদি জেগে ওঠে তাহলে তাদের তখতে তাউস এক মুহূর্তের জন্যও টিকবে না।’
তিনি অভিযোগ করেন, আজ জীবনের শেষ সময়ে এসে অসুস্থ দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আদালতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। নামাজ পড়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত দেওয়া হয় না। তাকে কিছু খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় না।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মামলা দিয়ে, হত্যা ও গুম করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে দমিয়ে রাখা যাবে না।’ মামলা দিয়ে নয়, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
এক এগারোর সরকারের সময় থেকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
‘একটি মহল এক এগারোর আগে থেকে তার (তারেক রহমান) বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে। তিনি আজ আমাদের থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে। অথচ তাকে আরো কীভাবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায়, এজন্য একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হচ্ছে’, বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধু কেন্দ্রীয় নেতা নয়, তৃণমূলের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ভয়ে তারা শহরে হকারি করছে, কেউ রিকশা চালাচ্ছে, কেউ গার্ডের চাকরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সংবাদপত্র খুললেই দেখবেন, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব। এ ওকে গুলি করছে, ও একে গুলি করছে, মারছে। কী নিয়ে দ্বন্দ্ব? বখরা নিয়ে দ্বন্দ্ব। সমাজকে তারা এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে কোনো কিছুর জবাবদিহিতা নেই।’
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও মেয়রের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাংবাদিকরা সত্য কথা বললে বা ছবি তুলতে গেলে গুলি করে মারা হচ্ছে। কেউ নিরাপদ নয়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, কাজী আবুল বাশার, মুন্সী বজলুল বাসিত আঞ্জু, শফিউল বারী বাবু, যুবদল নেতা সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, রফিকুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এম