বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারই চেয়েছিল চালের দাম বাড়ুক, কিন্তু দাম ৫০ টাকার ওপরে চলে যাওয়ায় তা অসহনীয় হয়ে পড়েছে। রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চালের দামের কারণে অনেক অসুবিধা হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা চেয়েছিলাম চালের দাম কিছুটা বাড়ুক, তবে দামটা অনেক বেড়ে গেছে। আগে অনেক কম ছিল, সেটা ভালোই ছিল, কিন্তু ৫০ টাকার ওপরে ওঠে যাওয়াতে কিছু লোকের খুব অসুবিধা হয়েছে।
চালের দাম বৃদ্ধির কারণে ৫ লাখ মানুষ গরিব হয়েছে, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের এই রিপোর্টটির দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এগুলো তাৎক্ষণিক রিপোর্ট। এগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়। দাম বাড়ার কারণে কত শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে সেটা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। গরিব লোকের সংখ্যা কমছে বা বাড়ছে -এটার জন্য অন্তত পক্ষে বছরখানেক দেখা দরকার। কিন্তু এটা ঠিক যে চালের দাম বাড়ার কারণে সাধারণ মানুষের অনেক অসুবিধা হয়েছে। আগামীতে উৎপাদন বাড়লে চালের দাম কমে আসবে।
এদিকে চালের দাম বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ৩২ শতাংশ দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। এছাড়া চালের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় দারিদ্র্যের কবলে পড়েছেন দেশের ৫ লাখ ২০ হাজার মানুষ। শনিবার এমন তথ্য দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম।
সংস্থাটি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ চাল আমদানি হয়েছে, তা গত অর্থবছরের পুরো আমদানির প্রায় পাঁচগুণ। এক্ষেত্রে চাল রফতানিকারক দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের কৌশলগত চুক্তি করা দরকার বলেও সুপারিশ করে সংস্থাটি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস