সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আরও ৪৭ মামলায় গ্রেফতার সালমান-আনিসুল-পলকসহ ১৫ জন তারেক রহমানের সব মামলা প্রত্যাহার না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নোবেল পুরস্কার আসরের পর্দা নামবে আজ ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৭৯৯ মামলা, জরিমানা সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা তাসকিন রাজশাহীতে, লিটন ঢাকায়, মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ পুরোনো দলে বিচ্ছিন্নতাবাদী তাইওয়ানকে ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া চীনের ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তার বদলি গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নয় লেবাননে গেট ভেঙে শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে ইসরায়েলি ট্যাংক দীপ্ত টিভির তামিম হত্যার আসামি মাদকের কর্মকর্তা মামুন বরখাস্ত ‘গণঅভ্যুত্থানে ফিরে পাওয়া গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ আগামীকাল প্রকাশ করা হবে এইচএসসির ফল উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে, যুক্ত হচ্ছেন আরো দুজন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকেলে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাজার তদারকি বিকেলে অনন্যা পান্ডের কোন গোপন ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিতেন আরিয়ান? সরকারের কাছে চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধির প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি চীনের সঙ্গে সামরিক যোগাযোগ বাড়াতে চায় সরকার ফাগুনে ১৬ কোটি হয়ে ফেরার কথা বলে চলে গেলেন কাউসার বেতনের দাবিতে মিরপুরে পোশাকশ্রমিকদের রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ

সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণ করে কাজে লাগানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণ করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪ (অ্যাক্ট নং ২৬, ১৯৭৪)’ প্রণয়নের ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আছে তরুণ সমাজ। এরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের পথ দেখালেই বীরদর্পে সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা সেটাই চাই।

এসময় বিভিন্ন দেশের যুদ্ধের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শান্তি প্রগতি ও উন্নতির পথ দেখায়, জাতিকে অগ্রগরমান করে, উন্নত জীবন দেয়। আমরা সেজন্য শান্তি চাই। যুদ্ধ চাই না। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সেটি আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যেখানে রেখে গেছেন, বাংলাদেশ সেখানে থমকে গিয়েছিল। আমরা আবার সেখান থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। আমরা চাই, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবো। মর্যাদা নিয়ে চলবো। সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে রেখেছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, খনিজ সম্পদসহ সব আমাদের উত্তোলন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে। এজন্য যথাযথ বিনিয়োগও প্রয়োজন। এজন্য আলাপ আলোচনা করছি। আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি। আমরা বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।

এসময় তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বিনিয়োগ করে আপনারাও লাভবান হবেন।

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সামর্থ্য থাকতে হবে। ফোর্সেস গোল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।

সমুদ্র এলাকার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশাল সমুদ্র এলাকায় ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে। মাতারবাড়িতে ডিপ সি পোর্ট করেছি। পায়রা সি পোর্ট করছি। এটা থেকে সমুদ্র বেশি দূরে না। এটার একটা ভবিষ্যৎ আছে। আমরা ধীরে ধীরে উন্নতি করছি। তাড়াহুড়া করছি না। ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নৌবাহিনী কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জাতির পিতা অনুভব করেছেন। আমি এই নৌবাহিনীকে ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে রূপান্তর করেছি। অনেকে বলে, এটা কী দরকার ছিল। আমরা ছোট দেশ। আমরা কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে অনেক বড়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সালের পরের সরকার আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিশাল সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি, কোনো রকম উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের স্থল সীমানা চুক্তিও জাতির পিতা করে দিয়ে যান। সংবিধান সংশোধন করে সে চুক্তি বাস্তবায়ন করে দিয়ে যান।

পরে সেটি আর কার্যকর হয়নি। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসি এবং এ নিয়ে কাজ শুরু করি। এটি করতে হয় গোপনীয়ভাবে। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, এই নীতি মেনে চলেছি। পাশাপাশি আমাদের অধিকারটা আদায়েও সচেতন হই। উদ্যোগ নিই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশাল সমুদ্রসীমা আমাদের আছে। এটি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে অনেক অবদান রাখতে পারবে। আজকের দিনের এই সেমিনার আমাদের সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার ও সব সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা এবং সহায়ক ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। সমুদ্রপথ সবাই ব্যবহার করছে এবং ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত কোনো সংঘাত হয়নি, শান্তিপূর্ণ বাণিজ্যপথ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কখনোই সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ হবে না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব ধারণ করেই আমরা এগিয়ে যাবো।

আনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com