বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে চেয়ারে বসিয়ে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান মন্ত্রীদেরকে দাঁড় করিয়ে রেখে তোলা ছবিগুলো ফেসবুকে নিজেদের পেইজে পোস্ট করিয়েছিলো ভারতীয় দূতাবাস।
কিন্তু ফেসবুকে এসব ছবি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। ফলে অবশেষে ভারতীয় দূতাবাস সেগুলো তাদের পেইজ থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে এমনিতেই বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে মিশ্র মনোভাব রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের গত কয়েক বছরের রাজনৈতিক সংকট এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রণব মুখার্জিই অনেকাংশে দায়ী। তিনি বর্তমানে ভারতের সরকারি পদবিধারী কেউ নন। গত বছরের ২৭ জুলাই রাষ্ট্রপতি পদে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে তিনি অবসর জীবন-যাপন করছেন। সেই ‘সাবেক’ রাষ্ট্রপতির বসা অবস্থায় পেছনে দাঁড়ানো বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি এবং বর্তমান মন্ত্রীদের ছবি পেইজবুকে প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ঢুকে হাইকমিশনের ফেসবুক পেইজে ছবিগুলো দেখা যায়নি। তবে সেখানে এক পাঠকের শেয়ার করা ছবি ও তাদের সমালোচনামূলক কমেন্ট পাওয়া গেছে।
তাতে সুহাসিনী উদ্ভাসন নামের ওই পাঠক লিখেছেন–
“ছিৃছিৃ! বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছেৃ?
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নয় পেছনে দণ্ডায়মান বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট। প্রনব মূখার্জী যখন ভারতের অর্থমন্ত্রী (১৯৮২-৮৪) হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তাছাড়া বয়সেও প্রনব মূখার্জী তাঁর থেকে ৫ বছরের ছোট। রীতিবদ্ধভাবে, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির সাথে আরেক সাবেক রাষ্ট্রপতি দেখা করতে গেলে যেরকম প্রটোকল দেখানো উচিত সেই সৌজন্যতাও ভারতীয় দূতাবাস দেখায়নি । অন্তত এরশাদ সাহেবের জন্য আরো একটি চেয়ার দিয়ে, সমতা দেখানো উচিত ছিল। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ, কারো দানের নয়। ভারতীয় হাইকমিশনের এই ঘৃণ্য প্রটোকল স্পর্ধা প্রদর্শন এবং পেছনের সারিতে এরশাদ সাহেবের ফুলকিত অবয়ব, বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে আমি হতভম্ব। আমার কাছে মনে হয়েছে, পেছনে দণ্ডায়মান একটি মেরুদ-হীন বাংলাদেশ, এতে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। সর্বোপরি, লজ্জিত বাংলাদেশ এ ছবিতে !! আপনারা কি বলেন?”
বাংলা৭১নিউজ/জেএস