বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সমাবেশের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি না পাওয়ায় বিএনপি বিকল্প ভেন্যুর জন্য আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এক কর্মসূচি শেষে তিনি বলেন, ‘এই সরকার সব সময়ই একটা অজুহাত খোঁজে। তাই আমরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প স্থানে সমাবেশের অনুমতি চাইব। আশা করি, সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি পাব।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নবগঠিত কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে পরদিন ৮ নভেম্বর সমাবেশ আয়োজনের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে বিএনপি। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৭ নভেম্বর উপলক্ষে যেকোনো কর্মসূচি প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাবেশের জন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘একাধিক রাজনৈতিক দল ৭, ৮ ও ৯ নভেম্বর তারিখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনুমতি চেয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে তাই কোনো রাজনৈতিক দলকেই ওই তারিখগুলোতে সেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।’
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘরে নতুন করে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। সেখানেও আমরা বলেছি, এটা একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা। আমাদের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রয়েছে তা বিনষ্ট করা। এটা একটি বিশেষ মহলের কাজ।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা এখনই বলা যাবে না। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনায় যে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল তা দেখা যাচ্ছে না।’
৭ নভেম্বরের তাৎপর্য তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দিনটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য এবং বাঙালি জাতিসত্ত্বার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের জনগণ ও দেশপ্রেমিক সৈনিকরা একাত্ম হয়ে এক অভূতপূর্ব ঐক্যের মধ্য দিয়ে তারা দ্বিতীয়বারের মতো দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করেছিল। এ দিনটিতে দেশের জনগণ অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে একটি আবহ তৈরি করেছিল যে, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশে।’
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মুনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম পটু, আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহ সভাপতি সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুগ্ম সাধারণ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীসহ সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এম