রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

সবজি চাষে স্বাবলম্বী জাহানারা বেগম

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮
  • ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
Exif_JPEG_420

বাংলা৭১নিউজ,নবীন চৌধুরী,ধামরাই(ঢাকা)প্রতনিধি: ঢাকার ধামরাই উপজেলার কাওয়ালীপাড়া গ্রামের গৃহবধু আদর্শ নারী জাহানারা বেগম(৪৫) সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। ৫০শতাংশ জমিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। একই চাষের জমিতে চাষ হচ্ছে, টমেটো, শসা, কুমড়া, মিষ্টি পুরকল,পটল, বেগুন, পিয়াজসহ বিভিন্ন রকমের সবজি।
সবজি চাষি জাহানারা বেগম বলেন, আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে বাড়ির অমতে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করি। আমার পিতার বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল। কিন্তু আমার স্বামী আব্দুল সাত্তারের বাড়ির আর্থিক অবস্থা দরিদ্রতার শেষ প্রান্তে ছিল। এরপরেও ভাবতাম নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি।যদি অন্যরকম কিছু হয় (তালাক), মানুষ খারাপ ভাববে। আর ভালবাসা বলতেই বা কি রইলো। কঠিন দরিদ্রতার মাঝে আমার কুলজুরে আসে কন্যা সন্তান। স্বামী তেমন কোন কাজকর্ম করতে পারে না। আর একা কাজ করেই বা কি করবে।দরিদ্রতার আর দরিদ্রতা। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। হতশার মধ্যে পড়েছিলাম। কিছু একটা করতে হবে ভেবে। প্রথম অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেই, সবজি চাষ করবো। পরে অন্যের জমি বর্গা নিয়ে সবজি চাষ শুরু করি। প্রথম অবস্থায় মোটামোটি চাষ হয়। সামান্য কিছু আয় হয়। তাতে আমাদের সংসার মোটামোটি ভাবে চলতে থাকে। এরই মাঝে কন্যা সন্তানের পরে আমাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জম্মগ্রহন করে।
দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল। সন্তানদের মানুষ করতে হবে। শুরু হয় দরিদ্রতা বিমোচন করার যুদ্ধ। আমি পেরেছি দরিদ্রতা বিমোচন করতে। এখন আমার দুটি সন্তান মানুষের মত মানুষ হয়েছে।আমাদের কন্যা রোজিনা আক্তার মানিকগঞ্জ সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টাস শেষ করেছে। মেয়েকে গ্রামেই বিয়ে দিয়েছি। ছেলে, জাহানঙ্গীর আলম বাবু একই কলেজে বিএ অধ্যায়নরত। আমি অনেক খুশি আমার সন্তানদের মানুষের মত মানুষ করতে পেরেছি। আর বর্তমানে আমি সবজি চাষ করে প্রতি বছর আয় করি ২-৩ লক্ষ টাকা প্রায়। নিজেস্ব জমি কিনেছি। এখন অনেক সুখি আমাদের পরিবার। কিন্তু পোঁকার সংক্রমনে সবজি চাষ ব্যহত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসারদের এখন পর্যন্ত দেখা পাই নাই। সবজি চাষি গৃহকর্তী জাহানারা বেগমের স্বামী আব্দুল সাত্তার বলেন, আমার স্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে এবং উভয়ের সহযোগিতায় আজ আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সিক্দার বলেন, আমাদেরকে জানানো হয়নি। জানালে আমরা অবশ্যই, সবজিচাষী সঠিক সেবা পায়সেই দিকে লক্ষ্য রাখবো ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com