বাংলা৭১নিউজ,মোঃ মনসুর আলী,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘিতে সজনে গাছের ডালে ডালে ফুটেছে ফুল। গাছে গাছে ফুল দেখার পর সজনে ডাটার বম্পার ফলনের আশায় বাড়ী বাড়ী ও বাগানে বাগানে গিয়ে আগাম গাছের সজনে কিনছেন মেীসুমি সজনে ব্যাবসায়ীরা। আবহাওয়া এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার গত কয়েক বছরের চেয়ে বেশী উৎপাদন হবে। এতে ব্যাবসায়ীরা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন আগাম গাছ কেনা মৌসুমি ব্যাবসায়ীরা।
এবার উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহর এবং এর আশপাশ গ্রামে-গ্রজ্ঞে সবখানে গাছে গাছে গাছে প্রচুর পরিমানে সজনে ডাটার ফুল ফুটেছে। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে সজনে ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মুখোরচক ও পুষ্টিগুনে ভরপুর সজনে ডাটা স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে সবজির দাম বেশি। ফলে এবার সজনের দামও গতবারের চেয়ে এবার একটু বেশী হতে পারে। অন্যান্য সবজির চেয়ে সজনে ডাটা পুষ্টিগুণ ও স্বাদে বেশী হওয়ায় যে কোন বয়সের মানুষ সজনে খেতে ভারবাসেন। চিকিৎসকদে মতে সজনে সবজিতে ক্যালসিয়াম, খনিজ লবণ আয়রণসহ প্র্রোটিন ও শর্করা জাতীয় খাদ্য রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি সি সমৃদ্ধ সজনে ডাটা মানদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী । শরীরের পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসুতি মাযেদেও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে বলে সজনে ডাটা ঔষধী সবজি হিসাবেও ব্যাপক সমৃদ্ধ। এছাড়া গাছের ছাল এবং পাতা রক্তামাশায় পেটের পিরা ওউর্চ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ কার্য়কর ভুমিকা রাখে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সজনে ডাটা প্রধানত দুই প্রজাতির।
এরমধ্যে এক প্রজাতির বছরে তিন থেকে চার বার পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে এর নাম রাইখজ্ঞন। সজনে গাছ যে কোন পতিত জমি,পুকুর পাড় রাস্তার বা বাধের ধারে আঙ্গিনা এমনকি শহর বন্দরের যে কোন ফাকা জায়গায় লাগানো যায। এর কোন বীজ বা চারার প্রয়োজন হয় না। গাছের ডাল কেটে মাটিতে পুতে রাখলেই সজনে গাছ জম্মায়। সজনে গাছের কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না।অযন্তে অবহেলায় প্রকৃতিকভাবে বেড়ে উঠে গাছ। বড় ও মাঝারি ধরনে একটি গাছে ছয় থেকে আট মণ পর্যন্ত সজনে পাওয়া য়ায়। বিনা খরছে অধিক আয় হওয়ায় অনিকেই ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে আদমদীঘি উপজেলার মাটি, পিিন ও আবহাওয়া সজনে চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায এই উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর শহর ও এর আশে পাশের সর্বত্রই প্রচুর পরিমানে সজনে গাছ আছে। এই সব গাছ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন সজনে উৎপাদন হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগের মতে এই উপজেলায় সজনে চাষে উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া রয়েছে। এখানে ব্যানিজ্যিকভাবে সজনে চাষ করে আর্থকভাবে স্বাবরম্বী হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকে আম, জাম, কাঠার লিচু বাগানের মত এখন সজনে গাছের বাগান করতে শুরু করেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস