বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, করোনায় খুবই কঠিন সময় পার করেছে কক্সবাজারের পর্যটনের সঙ্গে জড়িত লাখো মানুষ। সবকিছু মাথায় রেখে খুলে দেয়া হয়েছে পর্যটনের সব অনুসঙ্গ। শুধুমাত্র সচেতনতাই পারে এ শিল্পে যে ক্ষতি হয়েছে কমিয়ে আনতে। করোনা নিয়ে সরকারি যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঘুরে দাড়াবে পর্যটন শিল্প।
শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ‘পর্যটনে কোভিড-১৯’ বিষয়ক সচেতনতামূলক র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশে বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তৈরি করছেন বেসরকারি অংশীজনরা। যত বেশি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে তত বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ কারণে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে কক্সবাজারে। এটি পূর্ণতা পেলে বিশ্বের দরবারের নতুন করে আলোচিত হবে কক্সবাজারের নাম।
সচেতনতামূলক র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোখলেছুর রহমান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) সৈয়দ মুরাদ ইসলামসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সংগঠনের নেতা-কর্মী ও হোটেল-মোটেল জোনের উদ্যোক্তারা।
বাংলা৭১নিউজ/সিএফ