বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের জানাজা সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরদেহ গাইবান্ধায় তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ গাইবান্ধায় তার পারিবারিক কবরস্থানে বিকাল চারটায় দাফন করা হবে।
গত শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ঘরে ঢুকে হেলমেট পড়া কয়েকজন যুবক তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরদিন সকালে রংপুর মেডিকেলে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলা পুলিশ লাইন মাঠে প্রথম জানাজা শেষে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
এদিকে এমপি লিটনকে হত্যার দিন থেকেই বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে গাইবান্ধা। খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও লিটনের সমর্থকরা। রবিবার সুন্দরগঞ্জ জেলায় হরতালও পালন করে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করেন।
রবিবার মরদেহ দেখতে গিয়ে রংপুর মেডিকেলের সামনে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছিলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত-শিবির চক্র জড়িত। তার (লিটন) কারণে সুন্দরগঞ্জে সুবিধা করতে না পেরে জামায়াত-শিবিরই লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।’
পুলিশ প্রধান শহীদুল হকও এই হত্যার পেছনে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। খুনিদের গ্রেপ্তার করতে শনিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের অনেকে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
বাংলা৭১নিউজ/এন