সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

সংসদে ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,সংসদ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা একাত্তরের ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা চালানোর পর এখন পাকিস্তান মিথ্যা তথ্য দিয়ে বই ছাপিয়ে তাদের কৃতকর্ম উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে মিথ্যাচার সম্বলিত বই ছাপিয়ে তা আবার বাংলাদেশের কাছে পাঠানোর দুঃসাহস পাকিস্তান পায় কীভাবে? আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানাই।দেশের পক্ষ থেকে দ্রুতই পাকিস্তানের কাছে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাব। আজ সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি দেশবাসীকেও পরাজিত
অপশক্তি পাকিস্তানের এ ধরণের ঔদ্ধ্যর্ত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কারা পরাজিত শক্তিদের মদদ দিচ্ছে তাদের সম্পর্কেও দেশের জনগনকে জানা উচিত। খালেদা জিয়া যেভাবে একাত্তরে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিদেশী প্রভূদের (পাকিস্তান) সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তারই প্রতিফলন হচ্ছে মিথ্যাচার করে বই ছাপিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে পাকিস্তান।

আজ বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই পয়েন্ট অব অর্ডারে বিষয়টির তুলে ধরেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদদে পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদের লেখা ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ ঃ মিথস এক্সপ্লোডেড বই লিখে তাতে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কর্তৃক এদেশের গণহত্যাকে মুক্তিবাহিনীর হত্যাকান্ড হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে।বইটি সংসদে দেখিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবাদ জানান এবং ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষনার দাবি জানান।এ সময় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরাও নিজ নিজ আসনে দাঁড়িয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি প্রসঙ্গে সভাপতির আসনে থাকা স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সকল সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের দাবি জানিয়ে ইতোমধ্যেই একজন এমপি সংসদ সচিবালয়ে একটি নোটিশ জমা দিয়েছেন। ওই নোটিশ এবং
বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী তা গ্রহন করে অগ্নিঝরা মার্চের যেকোন একটি দিনে এ নিয়ে সাধারণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।

তোফায়েল আহমদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কারোর হুইসেলে আমাদের স্বাধীনতা আসেনি। একাত্তরে জেনারেল ইয়াহিয়া বাংলাদেশে যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা সবারই জানান। পুরো বাংলাদেশ জুড়ে হানাদার বাহিনীর ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনার শুধু দেশেই নয়, পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক বহু দেশেই তথ্য রয়েছে। এখন পাকিস্তান তাদের যে এই কৃতকর্ম,যে গণহত্যা চালিয়েছিল। সেগুলোকে উল্টো মুক্তিবাহিনীর ওপর দোষ দিয়ে নিজেদের
দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের জন্য এটি লজ্জার বিষয়। এমন বই লেখার এবং তা বাংলাদেশে পাঠানোর সাহস তারা (পাকিস্তান) কোথায় থেকে পেল।এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদ নেতা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য,একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী যার স্বামী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। সেই নেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন,মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়নি! যে কথাটি দেশের প্রত্যেকটি মানুষ জানে ও স্বীকার করেন। আর সেখানে সেই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া গণহত্যা নিয়ে
প্রশ্ন তুলেছেন।তিনি বলেন, শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই বিদেশী প্রভুদের সুযোগ করে দেয়া- এটাই বোধহয় তাঁর (খালেদা জিয়া) ইচ্ছা ছিল। তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি- পাকিস্তান বই ছাপিয়ে সেটা আবার বাংলাদেশে পাঠায়। এত বড় দুঃসাহস তাদের কোথায় থেকে আসলো সেটাই আমাদের প্রশ্ন। প্রধান মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজকে স্বাধীন। তাদের (পাকিস্তান) ধারণা ছিল বাংলাদেশ বোধহয় স্বাধীন হলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। সেই ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারা ঘটিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পরাজিত শত্রুরা ভেবেছিল বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়নি। বাংলাদেশ আজ বাংলাদেশ আজকে সফল। সারা বিশ্বেও কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এটাই বোধহয় পাকিস্তানি জান্তাদের গাত্রদাহ। এটাই তাদের জ্বালা। এটাই তারা সহ্য করতে পারছে না। যে কারণে আজকে তারা মিথ্যাচার করছে।আজকে তারা এই গণহত্যাকে এখন চাপাতে চাচ্ছে মুক্তিবাহিনীর উপর। এটা কোনদিনেই গ্রহণযোগ্য নয়। পাকিস্তান যে গণহত্যা চালিয়ে অপরাধ করেছে তার জন্য তাদেরকে বারবার বলা হয়েছে, তোমরা মাফ চাও। তারা মাফ তো চায়নি, উল্টো এখন তাদের অপকর্মকের দায়বার আমাদের মুক্তিবাহিনীর ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে।এটা বাংলাদেশের কাছে কোনদিন গ্রহণযোগ্য না। এটা কখনো মেনে নেয়া হবে না। পাকিস্তানের কাছে এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান এমন ধরনের বই
তৈরির কারণে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই। আমার আমাদের দেশ থেকে কারা তাদে মদদ দেয়- এটাও দেশবাসীর জানা উচিত। দেশবাসীকে এটাও দেখতে হবে তারা
(বিএনপি-জামায়াত জোট) এখনো বিদেশী প্রভূদের ভুলতে পারে না। এখনো বিদেশী প্রভুদের তোষামোদি করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর- আলশামসরা গণহত্যা শুরু করেছিল।সেনাবাহিনীতে আমাদের বাঙালি অফিসার যারা ছিল চট্ট্রগ্রাম থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদেরকে হত্যা করে। পুলিশ বাহিনীকে হত্যা করে। আমাদের পিলখানায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার বার্তা প্রচারের কারণে ইপিআরসহ আনসার বাহিনীকে হত্যা করে। তারা কাউকেও বাদ দেয়নি। সারাদেশেই তারা গণহত্যা চালিয়েছে।আমাদের মা-বোনদের নির্যাতন ও ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাঁর অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীরা যেভাবে এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে আমি মনে করি আমাদেরকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমাদের গ্রহণ করতে হবে। এজন্য যথাযথভাবে একটি প্রস্তাব আমরা সংসদে আনতে পারি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছেও সমস্ত তথ্য দিয়ে আমরা এটা প্রচার করবো এবং দাবি জানাব। যাতে করে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান সকল যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে ভোটের ও রাজনীতির অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে পুনর্বাসনও করেছিলেন। এদের হাতেই লাখো শহীদের রক্ত¯œাত জাতীয় পতাকা তুলেদিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। আর তাঁর স্বামী এসব যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী,প্রধানমন্ত্রী ও উপদেস্টা বানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি, বিচারের রায়ও কার্যকর হচ্ছে। এ কারনেই বোধ হয় তাদের (পাকিস্তান) টনক
নড়েছে। আজকের তাদের জন্য কাদের মায়া কান্না, সেটা তো আমরা দেখতে পাচ্ছি। এই পরাজিত শক্তি আবার অপপ্রচার শুরু করেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। পাকিস্তানের কাছে এ ব্যাপারে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথায় কোথায় গণকবর রয়েছে, কারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে- তাদের তথ্য সংগ্রহ করার আমরা চেষ্টা করছি। আর একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে কীভাবে গণহত্যা চালিয়েছে তা নতুন প্রজন্মকে
জানতে হবে। আমরা দেশের যে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তা অব্যাহত রাখতে হবে। আর অন্ধকার নয়, আমরা যে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছি তাও অব্যাহত রাখতে
হবে দেশবাসীকে।

আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনে কোন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহন ছাড়াই ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই নির্বাচনে জনগণের ভোট চুরি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও দন্ডিত খুনীদের সংসদে এনে বসিয়েছিলেন তিনি। খুনী কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এটাই হলো খালেদা জিয়ার আসল চরিত্র। এর আগে ঘটনাটি জাতীয় সংসদের দৃষ্টিতে এনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,পাকিস্তানের জুনায়েদ আহমেদের লেখা একটি বই বেরিয়েছে। এই বইটাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা ও ৩০ লাখ শহীদ সবকিছুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে এই বইটি পাঠিয়েছে পাকিস্তানের আইএসআই। আমি নিন্দা জানানোর জন্য দাঁড়িয়েছি। ৩০ লাখ শহীদ, এক কোটি লোক গৃহহারা ও লাখো মা-
বোনের লাঞ্ছিত হওয়ার সমস্ত ঘটনাকেই ওই বইয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল করা হয়েছে।একটি ঐতিহাসিক ছবি আছে যেটি সমস্ত বিশ্বব্যাপী পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, লেখা আছে ‘ম্যাসাকার অব পাকিস্তানি আর্মি’। পাশে নিহত রিক্সাওয়ালার ছবি পড়ে আছে। সেই ছবিটাকে তারা (পাকিস্তান) ক্যাপশন দিয়েছে ‘ম্যাসাকার অব অর্ডিনারি সিভিলিয়ান্স বাই মুক্তিবাহিনী ইন ৭১। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। তিনি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করে বলেন, যেহেতু বিরূপ প্রচার-প্রপাগান্ডা হচ্ছে, সেজন্য ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আমাদের চিহ্নিত করা উচিত এবং প্রতিবছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করব। তিনি বলেন, পাকিস্তানের আইএসআই সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের কত বড় দুঃসাহস এই বিকৃত বইটি লিখে
সেটি আমাদের হাইকমিশনে পাঠায়। আমরা সংসদ থেকে এর নিন্দা জ্ঞাপন করি।বইটা আমাদের নিষিদ্ধ করার কিছু নেই, ওটা পাকিস্তানের বই।তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত এই বইয়ের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com