রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা পাকিস্তানে বন্দুকযুদ্ধে ৬ সেনা ও ৮ বিদ্রোহী নিহত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই বন্ধুর মৃত্যু নেত্রকোণায় ১৫ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯২৭ বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামীদের জন্য হচ্ছে ‘স্পেশাল লাউঞ্জ’ ‘হেলমেট বাহিনীর’ সদস্য মনিরুল অস্ত্রসহ গ্রেফতার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতার ‘সাধারণ মানুষ যাতে ইলিশ খেতে পারে, সেই চেষ্টা করতে হবে’ শেরপুরে বন্যায় ৪ মৃত্যু, নৌযানের অভাবে উদ্ধার কাজ ব্যাহত নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের সারা দেশে দুই লক্ষাধিক আনসার মোতায়েন ইসলামী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত পলাতকদের তথ্য পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে বিএনপি এক সপ্তাহে তেলের দাম বেড়েছে ৯ শতাংশ ঘরেই মাদকের কারবার করতেন স্বামী-স্ত্রী, যৌথবাহিনী অভিযানে ধরা

কুশিয়ারা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে অনিয়ম

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৯ বার পড়া হয়েছে

ভাঙনের হাত থেকে বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষা ও বর্ষা মৌসুমে তিন জেলার ১০ ইউনিয়নের বন্যা প্রতিরোধে ‘হবিগঞ্জ জেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সম্মুখে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের ভাঙন রোধ’ প্রকল্পে অনিয়ম পেয়েছে সংসদীয় উপ-কমিটি। আগামী জুনে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এখনও কাজের প্রায় ৪২ শতাংশ বাকি। প্রকল্পের বাস্তবায়ন হওয়া কাজ নিয়েও নানান অভিযোগ উঠেছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনা অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এমনকি আগামী বর্ষা মৌসুমে বন্যার ঝুঁকিও বাড়বে। সংসদীয় উপ-কমিটির তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ প্রতিবেদন উত্থাপন করা হয়। এর আগে সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংসদীয় উপ-কমিটির সদস্যরা গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জের বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক ফজলুর রশিদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে উপ-কমিটির সদস্য প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে উপ-কমিটি একটি প্রতিবেদন তৈরি করে, তা মূল কমিটিতে জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে প্রকল্পের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণসহ ছয় দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে নদীর ঢাল ও তীররক্ষা কাজ অতিদ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের নির্ধারিত সময় আগামী জুন মাস হলেও আগাম বন্যা প্রতিরোধে এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে নদীর ড্রেজিং করতে হবে। বিদ্যুতের প্ল্যান্টের সামনে জমে থাকা পলি অপসারণ না করে স্ট্রিম তৈরি ও কুরিং সিস্টেম সচল রাখতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে স্বল্প ব্যয়ে দুটি ইনটেক চ্যানেল নির্মাণ করা যেতে পারে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল নৌপথে সরবরাহের লক্ষ্যে দুটি জেটি নির্মাণের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া প্রকল্পের প্রতিরক্ষা কাজ টেকসই করতে স্লিপিং ব্লক, ডাম্পিং ব্লক ও জিও টিউবের মান ও স্থাপন পদ্ধতি নিয়মিত তদারকির সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন সংসদীয় তদন্ত কমিটির সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

তিনি বলেন, প্রকল্প অনুযায়ী নদীর দুই তীরের কাজ হওয়ার কথা। গত আড়াই বছরে শুধু ডানপাশের তীরের কাজ হয়েছে। অথচ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নদীর বামপাশের তীরে অবস্থিত। নামের সঙ্গে বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্র না থাকলে হয়তো এ প্রকল্পটি অনুমোদনই হতো না।

মূলত বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষার জন্য এ প্রকল্প পাস হয়েছে। অথচ নদীর ভাঙন ডান তীরে বেশি হওয়ায় কেবল ডান তীরেই কাজ হয়েছে। বাম তীরে পলি জমে নদী সংকীর্ণ হয়ে গেছে। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্র ঝুঁকির মুখে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক নয়।

কুশিয়ারা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে অনিয়ম

সরেজমিন পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম তদন্ত কমিটিকে জানান, কুশিয়ারা নদীর ডান তীরের নকশা প্রথমে অনুমোদিত হয়। এজন্য ডান তীর সংরক্ষণের কাজ আগে শুরু হয়। বাম তীরের নকশা দেরিতে অনুমোদনের কারণে বাম তীরের বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি কম। তাছাড়া করোনাকালীন লকডাউন ও নির্মাণসামগ্রী ও শ্রমিক সংকটের কারণে বাস্তবায়ন কাজের ধীরগতি হয়েছে। বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংসদীয় উপ-কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন নিয়ে কমিটির আগামী বৈঠকে আলোচনা হবে। আলোচনা শেষে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, প্রতিবছর বর্ষাকালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ‘কুশিয়ারা ডাইক’ ভেঙে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দুটি, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টরের ফসল ও হাওরাঞ্চলের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদী ভাঙনের কারণে বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্রও ঝুঁকির মুখে পড়ে। এ কারণে কুশিয়ারা নদীর উভয়তীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয় জনগণ।

এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীর রক্ষায় ‘হবিগঞ্জ জেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সন্মুখে কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের ভাঙন রোধ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদী তীর ও ঢালরক্ষায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ১১টি প্যাকেজে কাজ শুরু হয়। তবে বাস্তবায়ন কাজ শুরু থেকে ধীরগতিতে চলছে।

এছাড়া নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার, অদক্ষ লোকবল দিয়ে কাজ করানো ও বাঁধের সঠিক মাপে মাটির ব্যবহার না করার অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে বিষয়টি পাউবোকে জানানোর পরও কাজ না হলে সংসদীয় কমিটিকে জানান। পরে অভিযোগ তদেন্ত সংসদীয় উপ-কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com