টেলিভিশন নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্কার চেয়ে এক হয়েছেন সংগঠনটির সাধারণ সদস্যরা। বর্তমান কমিটির নেতাদের সাড়া না পেয়ে উল্টো সদস্যদের ‘অ-সদস্য’ বলে বৈষম্য তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সংগঠনের সংস্কার চেয়ে আজ (০৭ সেপ্টেম্বর) শনিবার সকাল ১১টায় এক হয়েছেন শিল্পীরা। দীর্ঘ সময় ধরে চলা তাদের আলোচনা থেকে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের খবর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে এক হয়েছেন তারা। সেসবের মধ্যে রয়েছে নতুন কমিটি গঠন। তাদের দাবি, সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের নেতৃত্বের কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। নতুন আরও একটি বছর শেষ হওয়ার পথে, তবু কেন নির্বাচন দেওয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দেওয়া এবং আলোচিত আলো আসবেই গ্রুপে সক্রিয় ভূমিকা রাখাসহ নানান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক হয়েছেন তারা। বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন, এফ এস নাঈম, শ্যামল মাওলা, কাজী নওশাবা, মৌসুমী হামিদ, খায়রুল বাসার, মনোজ প্রামাণিক, সিয়াম নাসির প্রমুখ।
এর আগে শিল্পীদের উদ্দেশে এক বার্তা দিয়ে সবাইকে একত্র হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, আজ সকাল ১১টায় সকল দৃশ্যমাধ্যমের সাধারণ পেশাদার অভিনয়শিল্পীরা বসছি গ্রাউন্ড জিরোতে। চাইলে আপনারাও আসতে পারেন। আমরা বিভেদ করবো না। আমরা কথা বলব দেশের সকল দৃশ্যমাধ্যম পেশাদার অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে, অনলাইনে বা সরাসরি। আমরা আমাদের কথাগুলো, প্রশ্নগুলো, পরিকল্পনাগুলো এবং সিদ্ধান্তগুলো জানাবো আজ।
ওই সভা থেকে সোহেল মন্ডর বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই। সেটা শিল্পী সংঘের সদস্য বা অসদস্যর বৈষম্য রাখতে চাই না। শিল্পী হিসেবে পরস্পরের মধ্যে সংলাপ করতে চাই আমরা।’ খায়রুল বাসার বলেন, ‘এই সময়ে যে ঘটনাগুলো ঘটে যাচ্ছে তাতে আমরা ব্যথিত কিছু শিল্পীর কথাবার্তা, আচরণ ও স্টেটমেন্টে। তাদের অমানবিক কাজের দায় আমাদের নিতে হচ্ছে। সেটা আমরা নিতে চাই না। আমরা সংস্কার চাই। আমাদের পর্যাপ্ত গবেষণা আছে, সবকিছু রেডি আছে। আমরা ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিচ্ছি আলোচনায় বসার জন্য।’
তারা জানান, অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাধারণ পেশাদার অভিনয়শিল্পী হিসেবে বসতে চেয়েছেন তারা। কিন্তু তারা কেবল কাগজ-কলমের দোহাই দিয়েছেন। তারা জানান, আমরা সবাই পরস্পরের পরিচিত মুখ, তারপরও তারা ‘সদস্য’ এবং ‘অসদস্য’ বলে বৈষম্য তৈরি করেছেন।
আমাদের শুধু এতটুকুই চাওয়া ছিল, সুস্থ কাজের পরিবেশ, যে পরিবেশে কোন রাজনৈতিক ক্ষমতার আভাস থাকবে না, যে পরিবেশে প্রতিটা অভিনয়শিল্পীর স্বকীয়তা থাকবে, যে পরিবেশে শিল্পী ও শিল্পের ওপর থাকবে না কোন ফ্যাসিস্ট-এর প্রভাব, যার একতরফা সিদ্ধান্তের ক্ষতিপূরণ গোটা শিল্পীসমাজ আজ বহন করছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ