রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেফতার ডুমুরিয়ায় অস্তিত্ব সংকটে ৭ নদী জাপানে শক্তিশালী ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুত গতির বাসচাপায় নারী নিহত রোববার থেকে ফের তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি হতে পারে দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড ভারতীয় মসলায় ক্যানসারের উপাদান: তথ্য সংগ্রহ করছে যুক্তরাষ্ট্র দেশে আলাদা ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয় এখন সময়ের দাবি : সিআইডি প্রধান গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে ২৯ প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক ৩ মাসে গ্রামীণফোনের আয় ৩৯৩২ কোটি টাকা, গ্রাহক বেড়েছে ১০ লাখ পাঁচদিনে সোনার দাম কমলো ৬৪৯৭ টাকা প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর ঢাকায় দিনে-দুপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীর সর্বস্ব লুট বনানীতে যাত্রীবাহী বাসে হঠাৎ আগুন হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ করা হয়েছে বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করতেন তারা

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে ভারত সরকার ব্যর্থ: এইচআরডব্লিউ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে
গোরক্ষদের হাতে প্রহৃত দুই ব্যক্তি

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ (এইচআরডব্লিউ)। ২০১৭ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হামলার নির্ভরযোগ্য তদন্ত কিংবা সেসব বন্ধ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে এইচআরডব্লিউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সংস্থাটি গত (বৃহস্পতিবার) ২০১৭ সালের বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ওই তথ্য জানায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ, ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র কিছু নেতা হিন্দু আধিপত্য ও উগ্র জাতীয়তাবাদকে উৎসাহিত করেছে।

গোরক্ষক দলের নির্যাতন

গোরক্ষক দলের নির্যাতন


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন গরুর গোশতের জন্য গরু কেনাবেচা বা তাদের হত্যা করে এমন গুজবের জবাবে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সঙ্গে যুক্ত আছে দাবি করা কিছু মৌলবাদী হিন্দুগোষ্ঠী
অস্ত্র হাতে উগ্র হিন্দুদের মিছিল

অস্ত্র হাতে উগ্র হিন্দুদের মিছিল


মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অনেক হামলা করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে পুলিশ গোহত্যা নিরোধক আইনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করেছে। ২০১৭ সালে এ ধরণের কমপক্ষে ৩৮টি হামলায় ১০ জন নিহত হয়েছে।
‘গো-রক্ষার নামে ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে’
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আজ (শনিবার) পশ্চিমবঙ্গের ভাষা ও চেতনা সমিতির সম্পাদক ও কোলকাতা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘মোদি সরকার ব্যর্থ নয়, তারা আসলে চেষ্টাই করে নি। চেষ্টা করলে তবেই তো ব্যর্থতার প্রশ্ন ওঠে। তারা হল ষড়যন্ত্রকারী। আমাদের ভারতীয়ত্বকে ধ্বংসের, পরমত সহিষ্ণুতার ঐতিহ্যকে ধ্বংসের, দেশের যে বৈশিষ্ট্য- শক-হুন-পাঠান একদেহে লীন হল, সকলকে নিয়ে চলার যে নীতি তাকে তারা ধ্বংস করতে চায়। সেজন্য তারা বাকস্বাধীনতাকে হরণ করছে, ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হরণ করছে। সেজন্য তারা গরুর নাম করে, ভাষার নাম করে মানুষকে হত্যা করছে।’
ড. ইমানুল হক

ড. ইমানুল হক


তিনি বলেন, “২০১৫ সাল থেকে মুহাম্মদ আখলাক থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে গো-রক্ষার নাম করে গো-সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। তারা কিন্তু মোটেও গরু রক্ষায় আগ্রহী নয়। গত পরশুও বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের গোশালায় দেড়শ’ গরু মারা গেছে। কিন্তু এ নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ওদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে গরুকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা। প্রত্যকে বছর বেনারসে তেরোশ’ গরু প্লাস্টিক খেয়ে মারা যায়। তা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। তারা আসলে রাজনীতি করার জন্য, ক্ষমতা দখল করার জন্য গরুকে ব্যবহার করছে।’
দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ভারতে কর্মকর্তারা নিজেরা প্রমাণ করেছেন যে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং বিপদের মুখে পড়া অন্যগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে একনাগাড়ে হওয়া আক্রমণ থেকে তাদের রক্ষা করতে অনিচ্ছুক। ভবিষ্যতে এ ধরণের হামলা বন্ধ করতে জোরালো প্রয়াস ও সহিংসতায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি


হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহরণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে ভারতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করার প্রয়াসের বিষয়টিও উত্থাপিত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারগুলো সামাজিক উত্তেজনা বন্ধ করার নামে সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার আশ্রয় নিয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখা যায়। বিগত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৬০ বার ইন্টারনেট পরিসেবা ব্লক করা হয়েছে যারমধ্যে ২৭ টি ঘটনা জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক সাংবিধানিক মৌলিক অধিকারের সম্মান দিয়েছে। আদালত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন রক্ষা ও ক্ষমতার উদ্ধত আচরণের বিরুদ্ধে গ্যারান্টির ওপরে জোর দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি নীতি বা তার কাজকর্মের সমালোচনাকারী সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। সূত্র : পার্সটুডে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com