বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কলসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেণিকক্ষ সংকটে ছাত্রছাত্রীরে পড়াসোনা ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টি ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা লগ্ন থেকে প্রায় শতবর্ষের এই বিদ্যালয়টি এলাকাজুড়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে।
বর্তমান বিদ্যালয়টি শ্রেণিকক্ষের সংকট অবস্থায় পরেছে এবং আসবাপত্রের অভাবে নানা রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে মারাত্বক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ২০৮ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। শিক্ষার্থীর তুলনায় পযার্প্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকা এবং আসবাপত্রের অভাবও রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ আজিমা আক্তার জানান, এটি একটি অনেক পুরাতন বিদ্যালয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ২০৮ জন। এরই মধ্যে শিশু শ্রেণিতে ২৩ জন, প্রথম শ্রেণিতে ২৮ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৪ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৫১ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে ২০৮ জন শিক্ষর্থীর জন্য ভবন রয়েছে মাত্র ১টি। এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় পরিত্যক্ত রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকায় বিদ্যালয়ে পাঠদানে মারাতœক ব্যাঘাত ঘটেছে। এতে করে শিক্ষার মান উন্নয়ন দিন দিন ভেঙ্গে পড়ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সায়েম বলেন, শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় আমরা ২ সিফ্টে ক্লাস নিয়ে থাকি।
এদিকে শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকায় অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা (ম্যানেজিং) কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ এস.এম জিললুর রহমান কোমল জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন এই ঝুকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনটি অপসারন করে এই স্থানে একটি নতুন ভবনের প্রয়োজন। কেননা শিক্ষার্থীর তুলনায় শ্রেণিকক্ষ পর্যাপ্ত না থাকায় শিক্ষার সুব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শ্রেণিকক্ষ সংকটের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসকে অবগত করা হয়েছে , এখন আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অতিশীঘ্রই আবেদন করা হবে। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নিমার্ণ করার সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
২৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য
বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রথমিক বিদ্যালয় গুলো এখন ভারপ্রপ্তের ভরে ভারি হয়ে পরেছে। ৯৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪টি প্রথমিক বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষক নেই। এগুলো চলছে ভারপ্রপ্ত দিয়েই শিক্ষাদানসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াসোনা বিঘিœত হচ্ছে বরে অভিভাবকদের অভিযোগ।
উপজেলা প্রথামিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাযায় উপজেলায় ৯৮টি সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিনযাবত শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয় গুলো হলো প্রান্নাথপুর, সান্দিড়া, ডেকড়া,পাল্লা, র্কেলাপাড়া, বড় আখিড়া, ছোট আখিড়া, সুদিন, মুরাদপুর, উজ্জলতা, তেতুলিয়া, কসুম্বী, সাওইল, ধামাইল, ঘোড়াদহ, কড়ই, কাথলা, তিলোচ, শিববাটি, হরিনমারা, জয়দেবপুর, তারতা, কুমড়াপাড়া, ভেনলা, বরিয়ার্বাতা, কয়াকুঞ্চ্,ি বনতইর, পালনকড়ি, ও ঝাকইর সরকÍী প্রথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষকাদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।
এছাড়া সহকারী শিক্ষকেরও ৬টি পদ শূন্য রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক না থাকায় অতিরিক্ত দায়ীত্ব পাপ্ত থাকা শিক্ষকরা ্রপ্রায়দিন নানা অজুহাতে দাপ্তরিক কাজে উপজেলা সদরে আসেন এবং ব্যাস্ত থাকেন। এতে ঐসবশিক্ষকহীন বিদ্যালয়সমূহে কমলমতি ছাত্রছাত্রীদের পড়াসোনা বিঘœত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অভিভাকরা ।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ সাজ্জাদ জাহীদ জানান,যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকও সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের তালিকা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরন করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস