বাংলা৭১নিউজ, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পর্যটক বোঝাই একটি বাস উল্টে খাদে পড়ে গেলে ১৯ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতবস্থায় শিরীণ ফেরদৌস, নাজমা বেগম, আব্দুর রহমান ও রেবেকা বেগমকে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসময় বাসের ভেতর ৩৫জন পর্যটক ছিলেন।
জানা যায়, নাটোরের বড়াই গ্রামের মৌখাড়া ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকরা তাদের পরিবার নিয়ে ভ্রমনের জন্য গত ২১ ডিসেম্বর সিলেট এসেছিলেন।
রোববার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরতলীর শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের টি রিসোর্টের সামনে গাড়ী বাঁক নেয়ার সময় উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাছখাইড় গ্রামের আলী হায়দার(৫০),একই গ্রামের সফিকুল ইসলামের স্ত্রী রেবেকা(৪৫),নুরুজ্জামানের স্ত্রী শামীমা ফেরদৌস (৪০),মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম(৫০),রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা শিরীণ(৪০),রাজশাহীর হেতম খাঁ গ্রামের মকবুল হোসেনের স্ত্রী শিরীণ ফেরদৌস,গুরুদাশপুরের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম(৫০),একই এলাকার ছমির উদ্দিনের ছেলে আ:রহমান(৫৬),রাজশাহীর নয়বছরের শিশু প্রাপ্তি,একই এলঅকার নুরুজ্জামানের মেয়ে নাদিয়া(১৮),গুরুদাসপুরের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের লেঅকমান হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম(৪৩),একই এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী দিলারা পারভীন(৪৫) ও মেয়ে শশী(১৯)। এরা সবাই এ দুর্ঘটনায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আহত হয়ে শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
জানা যায়, রবিবার সকালে মাধবকুন্ড ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান পরিদর্শন শেষ করে নাটোর ফেরার পথে যাত্রীবাহী বাসটি শ্রীমঙ্গল উপজেলার টি রিসোর্টের সামনে গাড়ী বাঁক নেয়ার সময় উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়।
পরে স্থানীয় ফায়ার ষ্টেশনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের কয়েকদফায় দুর্ঘটনাকবলিত বাস থেকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত আরএমও ডা:মহসীন বলেন, আহতদের মধ্যে তিনজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদের মধ্য দুজন মহিলার কলার বোন এবং একজন মহিলার কোমরে ফ্যাকচার হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস