শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
একদিন বিশ্বের মানুষ ভারতের ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াবে: মোদি নির্বাচন হলে সব সংকট কেটে যাবে: মির্জা ফখরুল মামলার তদন্তে পুলিশ নয়, আলাদা সংস্থার প্রস্তাব কমিশনের দ্রুত নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে সরকার কাজ করছে তামিমের অবসর : যা বলছেন মুশফিক-রিয়াদ-শান্তরা মেঘনায় দুই স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩ এ কে আজাদ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হবিগঞ্জে বাস চাপায় তিন নারী শ্রমিক নিহত ‘গণমানুষের ক্যান্সার হাসপাতাল’ তৈরিতে তহবিল সংগ্রহ শুরু যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নে ‘কাছাকাছি অবস্থানে’ হামাস-ইসরাইল বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পলাতক আ.লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামানের সাক্ষাৎ আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা ‘সময় বলে দেবে’: সিইসি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা ৭ রোহিঙ্গা ফেনীতে আটক কিছুটা নিয়ন্ত্রণে পাঁচদিন ধরে চলা লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার তদারকি করছে ৫ টিম সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে : গভর্নর হামলাকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন

শ্রম আইনে পরিচালনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শ্রম আইনে পরিচালনা হবে সরকারি ও বেসরকারি ইপিজেডসহ সারা দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান। এটি বাস্তবায়ন করতে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৯৬’ বাতিল হচ্ছে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নরস বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এটি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন বেজাকে।

মূলত সমগ্র দেশে একটি শ্রম আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) অভিন্নভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। বেসরকারি ইপিজেড আইন এবং বেজা আইনের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য রেখে তা করা হবে বলে বেজার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের শ্রমিকদের ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রম আইন কার্যকরের দাবি জানাচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। সংশ্লিষ্টদের মতে সরকারি ও বেসরকরি ইপিজেড একই আইনে পরিচালিত হলে শ্রম বিরোধ ও শ্রম অসন্তোষ নিরসন সহজ হবে।

শ্রমিক সংগঠনগুলো মনে করছে, ইপিজেড শ্রমিকের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অধিকার থাকা উচিত, বিশেষ করে তাদের সংগঠন করার অধিকার থাকা দরকার। বর্তমান ইপিজেড আইন শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন তৈরির অনুমতি দিলেও, এই অ্যাসোসিয়েশনগুলো কোনো বেসরকারি সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন বা ফেডারেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে না।

তবে শ্রম আইন বিদ্যমান থাকলে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নানা ধরনের প্রচ্ছন্ন বাধা তৈরির মাধ্যমে খর্ব করতে পারবে না।

সূত্রমতে, দীর্ঘ ৯ বছর পর ২ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের গভর্নরস বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভূমি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বৈঠকে বেজা ও বেসরকারি ইপিজেড সমন্বয় বা অন্তর্ভুক্ত করা, বিদ্যমান শ্রম আইন সমগ্র দেশে ব্যবহার, দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ পরিস্থিতির সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

সেখানে বেসরকারি ইপিজেড ও বেজার কার্যক্রম প্রসঙ্গে আলোচনায় বলা হয়, বেসরকারি ইপিজেড ও বেজার কার্যক্রম প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ। কাজের প্রকৃতির ধরন ও বিনিয়োগ সেবা প্রদান প্রায় এক রকম। এসব দিক বিবেচনা করে পরিচালনার ক্ষেত্রে পৃথকভাবে না হয়ে বেজার সঙ্গে দেশের একমাত্র বেসরকারি ইপিজেড অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের কারণ তুলে ধরে বলা হয় এতে প্রকৃত অর্থে কাজের গতি ও বিনিয়োগ বাড়বে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, বেজার সঙ্গে বেসরকারি ইপিজেড অন্তর্ভুক্ত করতে বাংলাদেশ বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৯৬ বাতিল এবং বেজার আইন সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেটি আলোচনা শেষে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেজাকে।

বর্তমানে দেশে একটি বেসরকারি ইপিজেড রয়েছে সেটি হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ায় কোরিয়ান ইপিজেড। নানা জটিলতায় এখনো চালু হয়নি। ওই বৈঠকে বিদ্যমান শ্রম আইন-২০০৬ এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়। বর্তমান বেজা পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর মাধ্যমে। তবে এই আইনের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে শ্রম আইন, ২০০৬।

পাশাপাশি বেসরকারি ইপিজেড পরিচালিত হচ্ছে বাংলাদেশ বেসরকারি রপ্তানি প্রকিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৯৬ এর মাধ্যমে। তৎকালীন বেসরকারি ইপিজেড পরিচালনার লক্ষ্য নিয়ে এ আইনটি করা হয়েছিল। কিন্তু বেসরকারি ইপিজেড আইনে বিদ্যমান শ্রম আইনের খুব বেশি অস্তিত্ব নেই। সেখানে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়-বেজা ও বেসরকারি ইপিজেড আগামীতে পরিচালনা করা হবে দেশের বিদ্যমান শ্রম আইন দিয়ে। ভিন্ন কোনো আইনে পরিচালিত করা হবে না।

সূত্র আরও জানায়, বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয় একটি নির্বাহী সেল থেকে। সেটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অবস্থিত। তবে বেসরকারি ইপিজেড বিষয়ক বোর্ড অব গভর্নরসের অধীনে এটি পরিচালিত হচ্ছে। ওই বৈঠকে উপস্থাপন করা হয় ৫ আগস্টের পর এই নির্বাহী সেল প্রকৃত অর্থে কার্যকর নেই।

মূলত এই সেল থেকে বেসরকারি ইপিজেডে জোনের নির্মাণ কাজের জন্য ভবন নির্মাণ, কাঁচামাল ও আনুষঙ্গিক মালামাল আমদানির স্বার্থে কাস্টমস বন্ডেড সুবিধা দেওয়া, জোনের শুল্ক কর্তৃপক্ষের কর্মতৎপরতা ও পর্যবেক্ষণ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসহ সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

এছাড়া জোনে বিনিয়োগকারীদের নিবন্ধন, বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন, আমদানি-রপ্তানির পারমিট ইস্যু, ব্যাংকিং সুবিধা, বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ প্রদানের সহায়তায় কাজ করবে এই নির্বাহী সেল।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com