বাংলা৭১নিউজ,(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি উপজলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামে ঘটেছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সালাউদ্দীন (২০) নামের এক যুবক নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামে শশুর বাড়ি বেড়াতে এসে সকালে সবার অজান্তে তার স্ত্রী জেবা খাতুনকে (১৮) ধারলো কাঁচি দিয়ে গলা কেটে ফেলে। তাঁর বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় জেবা খাতুনকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
জেবা খাতুনের বাবা আব্দুল কালাম বলেন, যে প্রায় এক বছর পূর্বে আমার মেয়ে জেবার বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভার মুরাদপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে সালাউদ্দিন এর সাথে। বিয়ের পর বেশ ভালই চলছিল মেয়ে জামাইয়ের সংসার। গত সোমবারে মেয়ে জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং মঙ্গলবার রাতে মেয়ের সাথে সামান্য বিষয়ে কথাকাটাকটি হয় দুই জনের মধ্যে। এরপর জামাই তার বাড়ি চলে যেতে চাইলে আমরা বুঝিয়ে তাকে বাড়িতে রাখি। বুধবার সকালে মেয়ের চিৎকার শুনে তাঁর মা ছুটে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে ব্যার্থ হলে সেও চিৎকার করতে থাকে। এরপর জোর করে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে জামাইকে মেয়ের বুকের উপর বসে কাঁচি দিয়ে গলা কাটার দৃশ্য দেখতে পাই।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার এবং হত্যাকারী সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের কারণে স্বামী সালাউদ্দিন স্ত্রী জেবা খাতুনকে কাঁচি দিয়ে গলা কাটে। রক্তক্ষরণে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৬টায় সে মারা যায়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসআর