ঈদের পর টানা দরপতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই দেখা গেল বড় ধরনের দরপতনের প্রবণতা। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে লেনদেনে।
প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০ পয়েন্টের ওপরে। আর লেনদেনে হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক।
জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। সরকারের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। পরের তিন কার্যদিবস মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়।
অবশ্য লোডশেডিংয়ের ঘোষণার আগে থেকেই শেয়ারবাজারে দরপতন হচ্ছিল। ঈদুল আজহার পর এখনো পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। তবে লোডশেডিংয়ের ঘোষণা আসার পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার।
এ পরিস্থিতিতে রোববার লেনদেন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে একাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতা সংকট।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ