সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

শেষ দেখা ২৯ বছর আগে, শ্রীদেবীকে নিয়ে যা বললেন প্রেমিক মিঠুন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
  • ১৪২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সুন্দরী শ্রীদেবী দোলা দিয়েছেন কোটি পুরুষের মনে। তবে কেবলমাত্র একজন পুরুষই তার মনে দোলা দিতে পেরেছিলেন সুপারস্টার শ্রীদেবীর মনে। তিনি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আশির দশকে ভারতজুড়েই তুমুল আলোচিত ও নন্দিত জুটি ছিলেন মিঠুন-শ্রীদেবী। তাদের প্রেমকাহিনী আজও অনেককে নস্টালজিয়ায় নিয়ে যায়।

জবরদস্ত কোনো প্রমাণ না থাকলেও বলিউডের অলিতে গলিতে ছড়ানো আছে এই দুই তারকার বিয়ের মুখরোচক গল্প। একটা সময় তাদের সম্পর্কে ভাঙন আসে। আলাদা হয়ে যান তারা। শ্রীদেবী অনেকটা জেদের বশেই বিয়ে করেন প্রযোজক বনি কাপুরকে। মিঠুনও অন্যথায় সংসার পাতেন। তারপর দীর্ঘদিন আর মুখোমুখি হননি মিঠুন-শ্রীদেবী।

বলিউড তাদের আর কখনোই একসঙ্গে দেখার সুযোগও পাবে না। কারণ, জীবনের মায়া কাটিয়ে পরপারে চলে গেছেন শ্রীদেবী। তার আকস্মিক মৃত্যু শোকে স্তব্দ করে দিয়েছে বলিউড। সেই শোক এড়াতে পারেননি এককালের প্রেমিক মিঠুন। শ্রীদেবীর প্রয়াণের একদিন পর মুখ খুলেছেন তিনি প্রিয় মানুষটির জন্য।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে শ্রীদেবীর সঙ্গে পরিচয়ের গল্প শোনাতে গিয়ে মিঠুন বললেন, ‘জাগ উঠা ইনসান’ ছবিটি করার সময় প্রযোজক জানালেন ছবির নায়িকা শ্রীদেবী। শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। কারণ শ্রীদেবী তখন ‘হটেস্ট’ নায়িকা। ওর অভিনয়, হাসি আর নাচে সম্মোহি হিন্দি ছবির দর্শক। ওর সবগুলো ছবি আমার দেখা হয়নি। তবে জানতাম, আমার সঙ্গে ছবি করার বহু আগে থাকতেই ওর লক্ষ ফ্যান। সেই মেয়েই শুটিং চলাকালীন জানাল, ও নিজেই নাকি আমার ফ্যান। ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিটা দেখেছে অন্তত কুড়িবার। জানি না, তবে এটুকু জানি, মনের ভাললাগা ব্যক্ত করতে ওর বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ ছিল না। পরিষ্কার মনের মেয়ে। কোনো কিছু ভালো লাগলে, পরিষ্কার জানাত। অহংকার ওর মধ্যে কখনো ছিলো না। কেউ বলতে পারবে না। ছিলো যেটা আত্মসম্মানবোধ।’

শ্রীদেবী তার সবকিছুতেই মুগ্ধ হতেন দাবি করে বলেন, ‘শ্রীদেবীর পাগলামি শুরু হয়েছিলো আমাকে নিয়ে। আমার নাচে ও মুগ্ধ হতো। আমাদের প্রথম ছবিতে একটা গানের সিকোয়েন্স ছিল, যেখানে আমি বাঁশি বাজাব, ও নাচবে। শুটিংয়ের ফাঁকে জানালো, আমার বাঁশি শুনে ও মুগ্ধ। বলে বসলো- তুমি এত সুন্দর বাঁশি বাজাতে কোথা থেকে শিখলে মিঠুন?’ কোথাও না, নিজেই শিখেছি …শোনার পর আরও অবাক৷ অথচ নিজেই তো সকলকে অবাক করার মেয়ে। ওর রূপ-গুণ অভিনয়- রিয়েলি অসাধারণ অভিনেত্রী। ভেরি স্পনটেনিয়াস, ন্যাচারাল। কমেডিও চমত্কার করে। আর ডান্সার হিসেবে তো ওর তুলনাই নেই। ওর মুখে যখন নিজের মুগ্ধতা শুনতাম আমিও মুগ্ধ হলাম।’

শ্রীদেবীকে নিয়ে মিঠুন আরও বলেন, ‘মেয়ে হিসেবে অত্যন্ত ভদ্র -সভ্য , মার্জিত, রুচিশীল। দক্ষিণী শিক্ষিত , রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েরা যেমন হয়, ঠিক সে রকম। শুটিংয়ে দেখতাম চুপচাপই থাকত। কোনো ছ্যাবলামি, ইয়ার্কি নেই। ফালতু কথা বলা নেই। প্রফেশনাল। কাজটুকুই ছিল ওর ধ্যান। আদারওয়াইজ মা-বোনের সঙ্গেই সময় কাটাত। ওর বোন লতার সঙ্গেও আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। খুবই মজার মেয়ে। মাকে ছাড়া লতার সঙ্গে থাকলেই দেখতাম, শ্রীদেবীর ভিতরের একটা ছেলেমানুষি সত্তা যেন জাগ্রত হত। ‘স্টার নায়িকা’র খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসত।’

শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘আমরা হাসি-মজার মধ্যে দিয়েই কাজ করতে গিয়ে সম্পর্কে জড়িয়ে গেলাম। সেই সম্পর্কের সূত্রে আমি আর শ্রী ক্রমশ জড়িয়ে গেছিলাম একটা ভালোলাগার বন্ধনে। সেই সম্পর্কে হয়তো ছিল শান্তির প্রত্যাশা। চাহিদার প্রতিশ্রীতি।’

কেন ভেঙ্গে গেল সম্পর্কটা? জবাবে মিঠুন বললেন, ‘দায়বদ্ধতা। জানি না, সত্যি জানি না। তবে এটুকু জানি , সেই ‘দায়’ কখনও আমি মেটাতে পেরেছি, কখনও হয়তো পারিনি। আর এই পারা, না-পারার মাঝেই আমার আর শ্রী-র সম্পর্কে তৈরি হল একটা দূরত্ব। বাকিটুকু কেবলই মন খারাপের স্মৃতি। আমি ওকে চিরকাল মনে রাখবো। শ্রীও আমাকে মনে রেখেছে, সে আমি জানি।’

দুজনের শেষ দেখা কোথায় কবে, সেই প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন বলেন, ‘মনে আছে ’৮৯ সাল। ‘গুরু’র লাস্ট শট।
পরিচালক উমেশ মেহরা চিন্তা করছে, আমাদের শট শেষ করা যাবে কি না। কারণ আমাদের সম্পর্ক তখন খুব খারাপ। আমি নিশ্চিত করেছিলাম উমেশকে, ‘ডোন্ট ওরি, আমি কথা দিচ্ছি, তোমার শট শেষ হবে। শ্রী আমার থেকে যদি দূরে সরেও যায়, ছবি শেষ না করে যাবে না। ও কাজের প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল। শ্রী আমার কথা রেখেছিলো। শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলো। সেই ছবি শেষ, আমাদের ‘বন্ধুত্ব’ও শেষ। আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি।’

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com