বাংলা৭১নিউজ ,সিলেট: শুরুটা আলো ঝলমলেই ছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ দুই দলকেই নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল স্বাগতিকরা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৮ উইকেট আর ৯১ রানের বড় দুটি জয়। মাঝে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৩ রানের বিশাল জয়। তখনো কে জানত, এক মাস পর এই দলটাই হারতে হারতে অসুখী এক পরিবার হয়ে যাবে!
বিপর্যয়ের শুরুটা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুখোমুখি দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে। মিরপুরে ৮২ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার পর ১০ উইকেটের হার। এরপর সব ফরম্যাট মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের চারটিই বাংলাদেশ হেরেছে, একটি হয়েছে ড্র।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ফিল্ডিংয়ে চোট নিয়ে ছিটকে গেলেন সাকিব আল হাসান। যেন ছিটকে গেল পুরো দলই! ফাইনালে বাংলাদেশ আরেকবার ট্রফি বিসর্জন দেয় শ্রীলঙ্কার কাছে।
সাকিবকে ছাড়া মাহমুদউল্লাহর দল চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট তবুও ড্র করেছিল দারুণ লড়েই। তবে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট হেরে যায় আড়াই দিনেই, খোয়ায় সিরিজও।
আর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ১৯৩ রানের রেকর্ড গড়ার পরও বাংলাদেশ আরেকটি পরাজয় সঙ্গী করে বোলারদের ব্যর্থতায়। তাতে আত্মবিশ্বাসের ভিতটা নড়বড়ে হয়ে যায় আরও।
আজ বিকেল পাঁচটায় সিলেটে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটাই বাংলাদেশের শেষ সুযোগ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবার এটিই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। পাহাড়ের কোলে নয়নাভিরাম এই মাঠে নিজেদের ‘অভিষেক’টা জয়ে রাঙানোর হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। হতাশার সিরিজের শেষটাও ভালো করার সুযোগ।
বাংলায় একটা কথা আছে। শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। শেষ ম্যাচটা জিতলে হয়তো সব ভালো হয়ে যাবে না। তবে সান্ত্বনার একটা জয় তো অন্তত পাওয়া যাবে। শেষটা রঙিন হবে বাংলাদেশের?
মাহমুদউল্লাহ অবশ্য যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচের আগের দিন অধিনায়ক বলেছেন, ‘টেস্ট সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম, তবে আশানুরূপ ফল পাইনি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করেছে, কিন্তু বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু এখনো একটা ম্যাচ আছে, আমরা সেটার জন্য খেলব। চেষ্টা থাকবে যেন আমরা ভালো একটা রেজাল্ট করতে পারি।’
চোটের কারণে প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবালকে পায়নি বাংলাদেশ। তবে চোট কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরার অপেক্ষায় বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। শনিবার সিলেটে তামিমের পৌনে এক ঘণ্টার ব্যাটিং অনুশীলনই বলে দিচ্ছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামবেন দেশসেরা ওপেনার।
মূল মাঠে শনিবার বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে দুপুরে। তার আগে সকালে অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা দল। বাংলাদেশের চেয়ে বরং লঙ্কানদেরই অনুশীলনে দেখা গেল বেশি সময়। বোঝাই যাচ্ছে, সিরিজটা ২-০ করে ঘরে ফিরতে চায় সফরসকারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লঙ্কান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও জানিয়েছেন তেমনই, ‘আমরা কোনো ম্যাচেই হারার জন্য নামি না, ম্যাচ জিততেই এখানে এসেছি। এই সফরে ভালো করেছি। শেষটাও জয় দিয়ে করতে পারলে দারুণ হবে।’
শ্রীলঙ্কা চায় ২-০ করতে, আর বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করার আশায়। কার চাওয়া পূর্ণ হয়, সেটাই এখন দেখার।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস