শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রামের উন্নয়নে ৩ খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন ডা. শাহাদাত তিনদিনের মধ্যে এনআইডির ক্যাটাগরি করতে ইসির নির্দেশ বান্দরবানে কেএনএ’র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযান বেনাপোলে চালু হলো কার্গো টার্মিনাল, কমবে ভোগান্তি বাড়বে বাণিজ্য জাবি থেকে সরানো হলো শেখ মুজিবের ছবি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সংস্কার চান তারেক রহমান শহীদ আবদুল্লাহর বাড়িতে উপদেষ্টা সাখাওয়াত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচিতি সভায় পদবঞ্চিতদের হামলা ৩০ নভেম্বরের পর আর হজের নিবন্ধন করা যাবে না প্রকৃতির পরিচর্যা করে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে : হাসান আরিফ ড. ইউনূসকে বই উপহার দিলেন ব্রাজিলের উপরাষ্ট্রপতির স্ত্রী ঢাবি ছাত্রদলের ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ হিউম্যান রাইটসের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আহতদের পুনর্বাসন করা হবে: সালাউদ্দিন ঢামেকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে শ্রম সংস্কারের প্রতিশ্রুতি ড. ইউনূসের জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে সোলাইমান বললেন, শেখ হাসিনা আবার আসবেন ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যাচার করছে এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর, ফি বেড়েছে ১০০ টাকা কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইটে বোমাতঙ্ক, ১৮৭ যাত্রী নিয়ে জরুরি অবতরণ

শেরপুরের রাজার পাহাড়ে গিয়ে যা দেখবেন

শেরপুর প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১
  • ৪০ বার পড়া হয়েছে

রাজার পাহাড়, নাম শুনলেই নিশ্চয়ই কল্পনায় ভেসে ওঠে কোনো রাজা সিংহাসন পেতে বসে আছে পাহাড় চূড়ায়! যদিও এখন সেখানে গেলে রাজার দেখা মিলবে না; তবে প্রাচীনকালে এই পাহাড়ের গায়ে এক স্বাধীন রাজ্য ছিল। যার রাজা ছিলেন অত্যন্ত প্রতাপশালী। পরে তার নামানুসারেই এ পাহাড়ের নাম হয় রাজার পাহাড়।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্তবর্তী প্রান্তিক শেরপুর জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ছোট বড় টিলা, শাল গজারীর বন, পাহাড়ের নিচে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর। সেখানেই আছে সুবিশাল ও রোমাঞ্চকর রাজা পাহাড়। পর্যটকদের কাছে শেরপুরে অন্যতম আকর্ষণ হলো রাজার পাহাড়।

jagonews24

শেরপুর জেলার শ্রীবরদী পৌর শহর থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে কর্নঝোরা বাজার সংলগ্ন এলাকায় রাজার পাহাড়ের অবস্থান। স্থানীয়দের কাছে এটি জনপ্রিয় বিনোদন স্পট। বছরে প্রায় সব সময়ই শত শত মানুষ রাজার পাহাড়ের নির্মল পরিবেশে বেড়াতে যান।

গারো পাহাড়ে যতগুলো পাহাড় আছে তার মধ্যে রাজার পাহাড়ের উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এ পাহাড়ের বৈশিষ্ট সিলেট বা বান্দরবানের পাহাড়ের মতো না হলেও, সবুজের ঐশ্বর্যে সে কারও চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

jagonews24

রাজার পাহাড়ের উৎপত্তি নিয়ে কিংবদন্তি অনেক ঘটনা আছে। স্থানীয়দের মতে, অতীতে পাগলা দারোগা নামে এক ব্যক্তি রাজার পাহাড়ের চূড়ায় বসবাস শুরু করেন। এখনও তার সন্তানেরা এই অঞ্চলে আচেন।

তারাই এ পাহাড়ের কোণায় গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফলের বাগান। পরে স্থানীয় আদিবাসীরাও এসব ফলের বাগান করা শুরু করে। রাজার পাহাড়ে দেলে এর বিভিন্ন কোনায় দেখা মিলবে- আম, কাঁঠাল, লিচু ও কলার বাগানের।

যা দেখবেন

রাজার পাহাড়ের আকার দেখলেই বোঝা যায়, গারো পাহাড়শ্রেণির মধ্যে এটি আসলেই এক রাজা। এর চূড়ায় আছে শতাধিক হেক্টরের সবুজে ছাওয়া সমতল ভূমি। পাহাড়ের উপরে উঠলেই দূরের আকাশকে কাছে মনে হয়।

jagonews24

এর চূড়ার বিশাল সমতল ভূমিতে যেতে সরু পথ আর অদ্ভুত নির্জনতা যে কাউকে মুগ্ধ করবেই। আর ওই পথে যেতে যেতে যখন কানে আসবে বুনো পাখির ডাক, তখন মনে হবে আসলেই এ এক অন্য রাজার দেশে চলে এসেছেন।

এ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় আশপাশের কর্ণঝোড়া, মালাকোচা, দিঘলাকোনা, হারিয়াকোনা, চান্দাপাড়া, বাবেলাকোনাসহ ভারতের সীমান্ত এলাকা। পাহাড়ের নিচ দিয়েই কুলকুল শব্দে বয়ে চলেছে ঢেউফা নদী। বর্ষাকালে ঢেউফা নদীর সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

শীতে আবার নদী হয় শীর্ণকায়া। তবে খরস্রোতা এই পাহাড়ি নদীর পানি কখনই কমে না। এর বুকের বিশাল বালুচর দেখলে মনে হবে যেন পাহাড়ের কূলঘেষা এক বিকল্প সমুদ্র সৈকত।

jagonews24

রাজার পাহাড়ের পাশেই আছে আদিবাসী জনপদ বাবেলাকোনা। অসংখ্য উঁচু টিলায় ঘেরা এই গ্রামে বাস করে গারো, হাজং ও কোচ অধ্যুষিত আদিবাসীরা। এ জনপদ যেন বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের চলমান জীবন সংগ্রামের এক বিরল দৃষ্টান্ত।

আদিবাসীদের সংস্কৃতি, সংরক্ষণ ও চর্চার কেন্দ্র হিসেবে সেখানে আছে বাবেলাকেনা কালচারাল একাডেমি, জাদুঘর, লাইব্রেরি, গবেষণা বিভাগ ও মিলনায়তন। এখান থেকে আদিবাসীদের সম্পর্কে জানতে পারবেন অনেককিছু।

শেরপুর গেলে আরও ঘুরে আসতে পারেন গজনি অবকাশ যাপন কেন্দ্র, মধুটিলা ইকোপার্ক, নাকুগাঁও স্থলবন্দর, নয়াবাড়ি টিলা, পানিহাতার তারানি পাহাড়, সুতানাল দীঘি থেকে।

jagonews24

কীভাবে যাবেন?

দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাসে কিংবা যে কোনো যানবাহনে করে আসা যায় শেরপুর শহরে। সেখান থেকে মাত্র ৩৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীবরদীর কর্ণঝোরা বাজার। সেখান থেকে বাস, টেম্পুসহ অটোরিক্সা নিয়ে চলে যাওয়া যাবে রাজার পাহাড় ও পরে বাবেলাকোনায়।

থাকবেন কোথায়?

রাজার পাহাড়ে থেকে সেখান থেকে রাত্রিযাপনের জন্য বন বিভাগের ডাক বাংলোয় যেতে পারেন। এ ছাড়াও লাউয়াচাপড়ার পিকনিক স্পটের কাছে উন্নতমানের বনফুল রিসোর্টে থাকতে পারেন ৩-৫ হাজার টাকার মধ্যে। শ্রীবরদী উপজেলার ডাকবাংলোতে থাকতে পারেন কম খরচে।

jagonews24

তা ছাড়াও জেলা সদরে আছে জেলা পরিষদ এবং এলজিইডির রেস্ট হাউজ এবং জেলা ডাক বাংলো। জেলা শহরে হোটেল সম্পদ, হোটেল কায়সার ইন ছাড়াও আরও কয়েকটি আবাসিক হোটেল আছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com