বাংলা৭১নিউজ, মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে ধর্মকান্ত সরকার নামে এক বাংলাদেশী যুবককে বিয়ে করেছেন রুশ কন্যা সিবেৎলানা। শুক্রবার রাতে শেরপুর জেলা শহরের গোপালবাড়ী মন্দিরে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা ও তত্তা¡বধান করেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইস্কন, শেরপুর শাখার সদস্যরা।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সন্যাসীভিটা গ্রামের প্রয়াত ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছোট ছেলে সনাতনধর্মাবলম্বী ধর্মকান্ত সরকার জানান, ১৯৯৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর তিনি রাশিয়ায় যান। সেখানে আস্ত্রাখান টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে তেল, গ্যাস ও পেট্রোল বিষয়ে ¯œাতকোত্তর ডিগ্রী নেন। বর্তমানে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে হোটেল ব্যবসা করছেন। ২০১২ সালে মস্কোতে অবস্থিত ও ইস্কন প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ বলদেব সুভদ্রা মন্দিরে যান তিনি। ইস্কনের নিয়মানুযায়ী মন্দিরের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হন।
অপরদিকে রুশ তরুণী সিবেৎলানার বড় আগেই খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে ইস্কনে সেবামূলক কাজ আসা অবস্থায় বড়ভাইয়ের আহববানে রুশ তরুণী সিবেৎলানাও এ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ইস্কনে সেবা করতে থাকেন। ২০১৩ সালে মন্দিরের গুরুদেব আনন্তাকৃষ্ণা মহারাজের মাধ্যমে এখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটে রুশ তরুণী সিবেৎলানার। মহারাজার আহবানেই একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং দু জনেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মন্দিরের গুরুদেবের নির্দেশনা ও রাশিয়ার আইনানুযায়ী মস্কোতে নিবন্ধনমূলে ধর্মকান্ত ও সিবেৎলানার বিয়ে হয়। এক মাস আগে ভারতের মায়াপুর থেকে ধর্মকান্ত সিবেৎলানাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। কিছুদিন নিজের গ্রামের বাড়ি নালিতাবাড়ীর সন্ন্যাসীভিটায় থেকে চলে আসেন শেরপুরের ইস্কন মন্দিরে। দু’জনেই যুক্ত হন এ মন্দিরের সেবামূলক কাজের সঙ্গে। এরপর সনাতন ধর্মীয় আচার অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১০ টা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সিবেৎলানা জানায় সে বাংলাদেশকে খুব ভালবাসে। এখানকার মানুষগুলো খুব ভালো। তবে সে বৃন্দাবন হয়ে রাশিয়াতেই চলে যেতে চান। প্রতি বছর অন্তত একবার করে হলেও সে বাংলাদেশে আসবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস