বাংলা৭১নিউজ, মাহবুব রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেত’আজ রোববার উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০ টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি’র শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেতুর পূর্ব পাশে মঞ্চ তৈরী করে সরাসরি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন শেষে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাফর আলী, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরজ্জামা, লালমনিরহাট জেলার সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য এড.সফুরা খাতুন রুমী, ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার অধিবাসী হৈমন্তী শুকলা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিার সঙ্গে সরাসরি কথা বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা এলজিইডির তত্বাবধানে সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থ ও প্রযুক্তিতে এই গার্ডার সেতুটির নির্মিত হয়েছে। ১৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উত্তারাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু। এই সেতুটি উত্তর ধরলার তিনটি ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সেতুটি নির্মাণ করছে সিমপ্লেক্স এবং নাভানা কনষ্ট্রাকশন গ্রুপ। ৯৫০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৮০ মিটার চওড়া সেতুটির ১৯টি স্প্যান ও ৯৫টি গার্ডার রয়েছে। দৈর্ঘ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পর এই সেতুর অবস্থান বলে নির্মাণকারী সংস্থা এলজিইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এলজিইডি সুত্রে আরো জানা গেছে, মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। ফুলবাড়ী ও লালমনিরহাট অংশে ২ হাজার ৯১৯ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাবদ ১৩ কোটি ৯ টাকা, ৩ হাজার ৪৮০ মিটার নদী শাসনে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে ১৩ একর।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, সেতুটি চালুর ফলে সোনাহাট স্থল বন্দরের সাথে দেশের অন্য অংশের যোগাযোগ সহজতর হওয়ায় প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যের। পাশাপাশি কৃষি পণ্যের বিপণন, মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়াসহ আমূল পরিবর্তন হবে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে নদীর পারের মানুষ। ভুরুঙ্গামারী, নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার ১০ লাখ মানুষ রংপুর বিভাগীয় শহরে সহজে যাতায়াত করতে পারবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস