কোনো ছাত্রী যদি শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করতে পারেন এবং তার মতো অধ্যবসায়ী হন, তাহলে তিনি জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘সফলতার জন্য কোনো বিশেষ আদর্শ অনুসরণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি খ্যাত বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের ৩৫তম অর্থনৈতিক শক্তির দেশ। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উন্নয়নের কারিগর। তার মতো অধ্যবসায় করতে পারলে, জীবনে তার আদর্শকে ধারণ করতে পারলে আমাদের মেয়েরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে।’
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে ‘সপ্তম নারী গণিত অলিম্পিয়াড ২০২৩’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ উপলক্ষে ‘নারী গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি’র উদ্যোগে এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ঢাবির এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন ও ফলিত গণিত বিভাগের সহযোগিতায় এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। এতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রীরা অংশ নেন।
নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের মেয়েরা শিল্প-বাণিজ্যে অনন্য ভূমিকা পালন করছে। নারীশিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর অনুকরণীয় দেশে পরিণত হয়েছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গণিত হচ্ছে বিজ্ঞানের ভিত্তি। আমাদের মেয়েরাও এখন জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় অনেক সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। তারা এখন শুধু অধ্যয়নই করছেন না, প্রতিযোগিতায়ও অংশ নিচ্ছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করছেন তারা।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তৈরি করতে হবে। ডিজিটাল যন্ত্র প্রয়োগ করার সক্ষমতা অর্জন করার জন্য নিজের প্রচেষ্টা থাকলেই যথেষ্ট। এর জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞানী হওয়ারও প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে নারীরা বহুমুখী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা কেবল রান্না-বান্না, সন্তান বড় করা ও বাসন ধোয়ার কাজ করেন না। তাদের ওপর দায়িত্ব থাকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালনা করার।’
মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, ‘দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা এখন ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। প্রতি ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল পৌঁছেছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ২৮ হাজার টাকা, এখন তা ৬০ টাকায় নেমেছে। গ্রামের নারীরাও এখন এফ কমার্সে যুক্ত হচ্ছে।’ তিনি নারীদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ উইমেন্স ম্যাথমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মোহাম্মদ সামাদ, বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ড. মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মালিক সাবিহা তাসমিন ও শ্রাবনী শিকদার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ