বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: মানুষ কী করবে এবং কী করবে না এর একটা বিধিনিষেধের গণ্ডি ইসলাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। গণ্ডির বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। ইসলাম মানেই হলো আত্মসমর্পণ করা, মেনে চলা। কেউ যখন একবার ইসলামের গণ্ডিতে চলে আসে তখন তার জীবনটাকে আর মনের ইচ্ছে মতো চালানোর সুযোগ থাকে না। ইসলাম যে বিধিনিষেধ দিয়েছে সেগুলো তাকে মেনে চলতেই হবে। ইসলামে থাকবে, কিছু মানবে আর কিছু মানবে না এই সুযোগ এখানে নেই। দীন মানলে পূর্ণাঙ্গরূপেই মানতে হবে। কিছু মেনে আর কিছু ছেড়ে সাফল্য লাভের কোনো সুযোগ নেই। যারা জীবনে সফল হতে চান তাদের জন্য দীন মানার কোনো বিকল্প নেই।
মানা বা শৃঙ্খলার বিধান যে শুধু ধর্মীয় ক্ষেত্রে এমনটা নয়। পার্থিব ক্ষেত্রেও সবখানে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। এটাও ইবাদতে গণ্য হবে। ধর্মীয় আইনের বাইরেও সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ মেনে চলা মুমিনের অন্যতম কর্তব্য। রাষ্ট্রের আইন অমান্য করা কোনো প্রকৃত মুমিনের কাজ হতে পারে না। সামাজিক অনেক বিধিনিষেধ আছে যা মেনে চলতে হবে শুধু সামাজিক কারণেই নয়, ধর্মীয় কারণেও। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যে বিধি-বিধান একজন নাগরিকের জন্য জারি করা হয় তা একজন মুমিন হিসেবে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী কখনো প্রকৃত মুমিন নয়।
জায়েজ বা বৈধ কাজের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও প্রশাসনের নির্দেশ পালন করা আবশ্যক। যেমন ‘ট্রাফিক আইন’ মেনে চলতে হবে। আধুনিক যুগের প্রচলিত আইন কোরান-হাদিসে সুস্পষ্টভাবে যেমন উল্লেখ নেই, তেমনিভাবে এগুলো মেনে চলতে কোনো বারণও করা হয়নি। এগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে আদিষ্ট ব্যাপার। তাই এগুলো মেনে চলা জনগণের জন্য আবশ্যকীয়। বরং এসব আইন না মানার কারণে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে যায় তবে সে কারণে তার পাপ হবে। এজন্যই ফেকাহবিদরা ফতোয়া দিয়েছেন, যদিও সাধারণ পরিস্থিতিতে মসজিদে জানাজার নামাজ পড়ানো মাকরুহে তাহরিমি। কিন্তু মসজিদের বাইরে জানাজার নামাজ পড়াতে গিয়ে যদি ‘ট্রাফিক আইন’ লঙ্ঘন হয় এবং রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো খোলা জায়গা না থাকে, তাহলে মসজিদেই জানাজা নামাজ পড়ানো জায়েজ। তবে ইসলামে জায়েজ নেই এমন কোনো নির্দেশনা মানতে বাধ্য নন মুমিন নাগরিকরা।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস