বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পঞ্চম দফায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বরাত দিয়ে বলা হয়, আজ সারা দেশে ৭২০ ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ ভোটগ্রহণের জন্য সব নির্বাচনী সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে চার ধাপের নির্বাচনে সারা দেশে অনেক জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। অনেক জায়গায় বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছে ৭০ জনের বেশি। আহত হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। অনেক স্থানে নির্বাচনোত্তর সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া এবারের ইউপি নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার প্রবণতাও অনেক বেশি।
ভোটারদের অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ জন্য নির্বাচনী এলাকায় মাঠে টহলে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সদস্য। সেই সঙ্গে রয়েছেন নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম। নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চার ধাপের তুলনায় আরো সুন্দর ভোট হবে।
শাহনেওয়াজ আরো বলেন, ‘ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনা হয়েছে। কিছু কিছু অভিযোগও এসেছে আমাদের কাছে। সব বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। কেউ যেন প্রভাব বিস্তার না করে, গোলযোগের চেষ্টা না করে এবং দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে মাঠ কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছি।’
এই ধাপে তিন হাজারেরও বেশি চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার।
প্রথম ধাপে ২২ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৩ এপ্রিল ও চতুর্থ থাপে ৭ মে ইউপি নির্বাচনের ভোট হয়েছে। পরবর্তী দুই ধাপেও ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
পঞ্চম দফায় দেশের ৪৪ জেলার ৮৬ উপজেলার ৭২০ ইউপির সাত হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্রে এক কোটি ১০ লাখের বেশি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
চেয়ারম্যান পদে তিন হাজার ২৫৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ হাজারের বেশি ও সংরক্ষিত সদস্য পদে সাত হাজারের বেশি প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪২ জন এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এঁরা সবাই আওয়ামী লীগের।
এ্রই ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে ৭২৬ ইউপিতে, ৬২৯ ইউপিতে রয়েছে বিএনপির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ১৭৭টি, জাসদের ২১টি, বিকল্পধারার দুটি, ওয়ার্কার্স পার্টির ১৩টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ১২২টি, জেপি দুটি, ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, এলডিপি ছয়টি, সিপিবি পাঁচটি, জেএসডি একটি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ছয়টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সাতটি এবং অপর একটি দল একটি ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর নানা কারণে এ পর্যন্ত ১৪টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
ছয় ধাপের এ ভোটের জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়। ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
বাংলা৭১নিউজ/এআর