শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কেমন আছেন সাবিনা ইয়াসমিন? দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় পাচার, যুদ্ধে বাংলাদেশি নিহত বিজয়ের দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ৭০০ জনের মৃত্যু চতুর্থদিনের মতো অনশনে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা, বিকালে অবরোধ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়ে অস্ত্র কারখানা ধ্বংস ইসরায়েলের মাদকাসক্ত শ্যালকের হাতে প্রাণ গেল ভগ্নিপতির তাৎক্ষণিক ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার, উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন দাবি না মানলে কঠোর হবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে চিত্র প্রদর্শনী শুরু আজ ইভিএম সংরক্ষণে নতুন পরিকল্পনা ইসির ক্যাপসিকাম চাষ ভালো দামে বেশি লাভের স্বপ্ন চরাঞ্চলের কৃষকের ঢাকায় আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণ ১১ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রোববার সকাল ৯টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনির্দিষ্টকাল রেল-সড়ক অবরোধের ঘোষণা তিতুমীর শিক্ষার্থীদের আসন্ন রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ দুদিন পর থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা হুইলচেয়ারে রাশমিকাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ভিকি আজ শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব

শুরু হলো ভাষার মাস

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

‘আমার ভাই এর রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ – শুরু হলো রক্তে রাঙানো ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।

এ মাসের সবচেয়ে বড় আয়োজন বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবার ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হচ্ছে এই গ্রন্থমেলা। বিকেল ৩ টায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস।

এ ছাড়া ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে নানা কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আবার হয়ে উঠবে জমজমাট। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। 

ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে গৌরবোজ্জ্বল । পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিল। যা এখন  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও স্বীকৃত। ১৯৫২ সালের  ফেব্রুয়ারির সেই আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

শুরুটা ১৯৪৭ সালের পর থেকেই। পাকিস্তান কৌশলে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষার ওপর প্রথম আঘাত হানে। মায়ের ভাষায় কথার বলাও তারা বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। কিন্তু বাংলার মানুষ সেই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করতে একবিন্দু পিছু হঠেনি। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। বায়ান্নর আগুনঝরা সে দিনগুলো বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে, থাকবে।

বায়ান্নর পয়লা ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে  ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক তার স্মৃতিকথনে লেখেন, ‘সে বছর ঢাকায় মাঘের শীতটা বেশি মাত্রায় এসেছিল। মাঘের সে শীত বাঘের গায়ে লাগতে পারে, কিন্তু ঢাকার ছাত্রদের গায়ে তেমন লাগেনি। কারণ একটাই -সাতাশে জানুয়ারি পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন তার দীর্ঘ বক্তৃতায় রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে বলেন যে, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা উর্দুই হতে যাচ্ছে।

এটুকু বলেই তিনি থামেননি। প্রসঙ্গক্রমে তাদের কায়েদে আজমের ভাষা বিষয়ক মতামত, প্রাদেশিকতা, এক রাষ্ট্রে এক রাষ্ট্রভাষা ইত্যাদি বিষয়েও কথা বলেন তিনি এবং উর্দু বিরোধীদের ‘পাকিস্তানের দুশমন’ বলে ঘোষণা করেন। যেমনটা করেছিলেন, পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪৮ মার্চে ঢাকা সফরে এসে।’

তিনি লেখেন, ‘বায়ান্ন ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটি এই মাতৃভাষা রাষ্ট্রভাষার ধারাবাহিকতার ফসল। সে দিনটিতে ছিল ছাত্রাবাসের বাসিন্দাদের মনে ধিকিধিকি জ্বলা ক্ষোভ।’

বাংলা৭১নিউজ/একেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com