ভয়াবহ দরপতনের মধ্যে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৫ জুলাই) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রায় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ধস নামে।
ঈদের পর থেকেই শেয়ারবাজারে এই দরপতন চলছে। ঈদের পর এখনো পর্যন্ত লেনদেন হওয়া নয় কার্যদিবসেই দরপতন দেখতে হয়েছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের।
আগের নয় কার্যদিবসের মতো সোমবারও লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৫০ পয়েন্টের ওপরে। আর লেনদেনে হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কম।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচকও।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দিনের সর্বনিম্ন দামে বিক্রির আদেশ দিতে থাকেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। অপরদিকে শূন্য হয়ে পড়ে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর। ফলে লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা সংকট বাড়তে দেখা যায়। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
এদিকে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে মাত্র ৪১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৪টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট কমেছে। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৭ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০টির, কমেছে ১০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ