বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা :আজ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীতশিল্পী এবং বাংলাদেশের গর্ব রুনা লায়লার জন্মদিন। ছোটবেলায় মা ও বড় বোন দীনা লায়লার সেলাই করা নতুন জামা পড়েই জন্মদিন কাটত তার।
ঈদের মতো জন্দিমনেও রুনা লায়লা নতুন জামা পেতেন মা এবং বোনের কাছ থেকে। কিন্তু এই সময়ে এসে জন্মদিন এলেই রুনা লায়লা ছোটবেলার সেইসব ফেলে আসা দিন খুব মিস করেন। ছোটবেলার জন্মদিন প্রসঙ্গ এলেই একটু অন্যরকম হয়ে যান তিনি। রুনা লায়লা বলেন, ‘আমার ছোটবেলার সব জন্মদিন ছিল স্মরণীয়। আমার জন্মদিনে বাড়িতে বন্ধু বান্ধব আসত, কেক কাটা হতো সব মিলিয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন তো আর তা করা হয় না। মহান আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে সুস্থ আছি, ভালো আছি, এখনো ভালোভাবে গান গাইতে পারছি।
এখন জন্মদিনে নিজেদের পরিবারের সদস্যরাই নিজেদের মতো উদ্যাপন করি। বাইরে কোথাও সাধারণত যাই না। তবে আমার জন্মদিন এলেই আমার মার কথা খুব মনে পড়ে। কারণ আমার মার জন্মদিন ১ ডিসেম্বর। মিস করি বড় নাতিকেও। কারণ তার জন্মদিন ২৪ নভেম্বর।’ গত বছর লন্ডনে বড় নাতির সঙ্গেই তিনি নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করেছিলেন। রুনা লায়লা তার আজকের অবস্থানের পেছনে বড় ভূমিকা হিসেবে তার মা এবং পাশাপাশি তার বাবা, বোন দীনা লায়লার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন।
ভক্তদের ভূমিকার কথাও উল্লেখযোগ্য। চলচ্চিত্রে গান গেয়ে তিনি এখন পর্যন্ত ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৭৭ সালে আবদুল লতিফ বাচ্চু পরিচালিত ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এরপর তিনি একই সম্মাননায় ভূষিত হন ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘তুমি আসবে বলে’, ‘দেবদাস’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাকের জন্য।
দেবু ভট্টাচার্য্যরে সুরে করাচি রেডিওতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রথম রুনা লায়লার কণ্ঠে বাংলা গান শোনা যায়। ‘নোটন নোটন পায়রাগুলো’, ‘আমি নদীর মতো কতো পথ পেরিয়ে’ গান তার কণ্ঠে শোনা যায়।
তবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে রুনা লায়লা প্রথম প্লে-ব্যাক করেন ১৯৭০ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘স্বরলিপি’ চলচ্চিত্রে সুবল দাসের সুর-সংগীতে। এর রেকর্ডিং হয়েছিল লাহোরে। তখন তিনি পাকিস্তানে ছিলেন।’ গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বলো কী হবে’ গানটিতে কণ্ঠ দেন।
দেশে আসার পর ১৯৭৬-এ প্রথম প্লে-ব্যাক করেন নূরুল হক বাচ্চু পরিচালিত ‘জীবন সাথী’ চলচ্চিত্রে। এর সুর-সংগীত করেছিলেন সত্য সাহা। রুনা লায়লার সঙ্গে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন খন্দকার ফারুক আহমেদ।
এখন পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ১৮টি ভাষায় গান গাইতে পারেন রুনা লায়লা যা বিশ্ব সংগীত ভুবনে সত্যিই বিরল। এদিকে গত ৫ নভেম্বর সিটি ব্যাংক এনএ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত হন।
বাংলা৭১নিউজ/এন