সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
প্রধান উপদেষ্টা নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব তলব ভারতে পালানোর সময় সাবেক ভূমিমন্ত্রী আটক শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেফতার টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত সরকারের প্রতি জি এম কাদেরের ত্রাণ সহায়তার আহ্বান ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ বাজার মনিটরিংয়ে টাস্কফোর্স গঠন হচ্ছে : আসিফ ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম, পিস ৭.৫ টাকা কোনো নিরাপত্তাঝুঁকি নেই, নির্বিঘ্নে পূজা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সুদ মওকুফ করে ঋণ রিশিডিউল করার দাবি চামড়া ব্যবসায়ীদের ১০০০ আইটি ইঞ্জিনিয়ারকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় জাইকা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিডি দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ড: নৌ-মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন অভ্যুত্থানে ১০৫ শিশু নিহত, প্রত্যেক পরিবার পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা ক্রিকেটার ছদ্মবেশে শ্রমিক নেওয়ার অভিযোগে ২১ বাংলাদেশি আটক ইসরায়েলি হামলা হলে জবাব দিতে পরিকল্পনা প্রস্তুত ইরানের সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আমিনুল গ্রেপ্তার অনুমাননির্ভর কোনো কথা বলতে চাই না: সাখাওয়াত হোসেন

শুধু পি কে নন, সম্পদ গড়েছেন স্বজনরাও

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক
  • আপলোড সময় রবিবার, ১৫ মে, ২০২২
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

শুধু পি কে হালদার নন, পশ্চিমবঙ্গের অশোকনগরে প্রাসাদসম বাড়ি করেন তার স্বজনরাও। আছে বিলাসবহুল গাড়ি, পুকুর। চোখের সামনে ম্যাজিকের মতো দু-তিন বছরে সবকিছুই হতে দেখেছেন এলাকাবাসী। তবে ভয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেননি তারা। শনিবার পি কে হালদারকে গ্রেফতারের পর স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে কৌতূহল

কলকাতা থেকে আনুমানিক ৬২ কিলোমিটার দূরের অশোকনগর এলাকাটিতে মূলত বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষেরই বসবাস বেশি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত শহর বনগাঁ থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরের এ এলাকায় থাকার সুবিধা হচ্ছে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসা। খুব সহজেই দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগও করা সম্ভব। এসব কারণেই পি কে হালদার ঘাঁটি গাড়েন এ এলাকায়।

প্রথমে তার ভাই প্রীতেশ এবং প্রাণেশ হালদারের নামে সম্পদের পাহাড় গড়েন। এরপর তাদের আত্মীয়স্বজনের নামেও প্রাসাদসম বাড়ি করা হয়; কেনা হয় জমি, পুকুরসহ অনেক কিছু।
সুকুমার মৃধার মেয়ের বাড়িতেও সেদিন অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। বাড়িটি এখন বন্ধ রয়েছে। এ বাড়িতে সুকুমার মৃধার বড় মেয়ে থাকতেন। গোয়েন্দারা বলছেন, ২০২১ সালে বাবার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়ার পর অদিতি মৃধাকে রাজসাক্ষী করার প্রস্তাব দিলে তিনি অশোকনগরের বিশাল সম্পদের খবর ফাঁস করেন। আর প্রাসাদসম এই বাড়ি দেখে ভয়ে অনেকেই বাড়ির লোকদের সঙ্গে কথা বলতেন না।
সেখানকার এক প্রতিবেশী বলেন, ‘উনি এখানে নির্দিষ্টভাবে থাকতেন না, তবে ওনার বড় মেয়েজামাই এখানে থাকতেন।’ আরেক প্রতিবেশী বলেন, ‘এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলা তো আমাদের মানায় না।’
অশোকনগরের বিল্ডিং মোড় থেকে প্রায় তিন-চার কিলোমিটার ভেতরে দক্ষিণ পল্লিতে রয়েছে প্রাণেশ হালদারের বাড়ি। ভাইয়ের নামে কেনা হলেও এখানেই মূলত থাকতেন পি কে হালদার এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় একজন বলেন, ‘এখানে প্রাণেশ হালদার বসবাস করতেন। তার মা থাকতেন। তারপর আমরা দেখেছি তার মা চলে গেলেন। তারপর প্রাণেশ চলে গেলেন।’ আরেকজন বলেন, এই একটা বাড়ি আছে, ওদিকে আরও আছে।
আরেক স্থানীয় বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এসেছে। সবাই বলে প্রচুর টাকা নিয়ে এসেছে। শুনেছি, ওখানে বড় ব্যবসা করে। আগে এখানে আমাদের মতো পুরোনো বিল্ডিং বাড়ি ছিল, পরে ওগুলো ভেঙে নতুন বাড়ি করে। তারপর তারা এখানে এসে ওঠে।’
একই এলাকার দক্ষিণ পল্লি থেকে কিছুটা এগিয়ে ৮ নম্বর স্কিম ভারতি ক্লাবের পাশে সুকুমার মৃধার দুই ভাগনে স্বপন এবং উত্তম মিত্রের বাড়ি রয়েছে। বাকি বাড়িগুলো যখন মাথা নিচু করে রয়েছে, সেখানে সুবিশাল এই বাড়ি মাত্র তিন বছর আগে রাতারাতি তৈরি করা হয়, যা দেখে কৌতূহল হলেও ভয়ে মুখ খোলেননি প্রতিবেশীরা। তবে সবাই জানতেন, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে এসেছেন স্বপন ও উত্তম মিত্র। এই দুই ভাইকেও পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: সময় টিভি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com