বাংলা৭১নিউজ,খেলাধুলা ডেস্ক: প্লে অফের লড়াই থেকে প্রায় ছিটকে গেল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। শনিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ৭ উইকেটে হেরে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন কার্যত শেষ হল দিল্লির। বড় কিছু অঘটন না ঘটলে এই বারও প্লে অফে পৌঁছনো হবে না দিল্লির।
শনিবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ইনিংসের শুরুটাও ভাল করে আইয়ারের দল।কিন্তু ম্যাচের শুরুটা ভাল হলেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি দিল্লির ক্রিকেটাররা। দিল্লির হয়ে ব্যাট হাতে ভাল পারফর্ম করেন ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক পৃথ্বী শ। ৩৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
পৃথ্বী ছাড়া রান পান দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৬ বলে ৪৪ রান করেন শ্রেয়াস। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কোনও দিল্লির ব্যাটসম্যানই এদিন বড় রান করতে পারেননি। শেষের দিকে ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে লড়াই করার মতো জায়গায় দিল্লিকে নিয়ে যায় বিজয় শঙ্কর।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ভাল বল করেন আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। ২৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রশিদ। একটি উইকেট পান সিদ্ধার্থ কল। দু’টি উইকেট আসে রান আউট হিসেবে। জবাবে ব্যাট হাতে নেমে এক বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট হাতে নিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
সানরাইজার্সের হয়ে ম্যাচের ভীত গড়ে দেয় তাদের ওপেনিং জুটি। শিখর ধাওয়ান এবং অ্যালেক্স হেলস মিলে প্রথম উইকেটে ৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৩১ বলে ৪৫ রান করেন হেলস এবং ৩০ বলে ৩৩ রান করেন শিখর। তিনটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল অ্যালেক্সের ইনিংস, পাশাপাশি শিখরের ইনিংস সাজানো ছিল দু’টি চার এবং একটি ছয় দিয়ে। ক্রিজে সেট হয়ে গেলেও এই দুই ব্যাটসম্যানকেই প্যাভিলিয়নে ফেরান অমিত মিশ্র। সেট দুই ব্যাটসম্যানের উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি সানরাইজার্সের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং ইউসুফ পাঠান নিজেদের দায়িত্বে জয় এনে দেন হায়দরাবাদকে। মূলত ইউসুফের ঝড়ো ইনিংসই জয়ের রাস্তা প্রসস্থ করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য। ১২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দু’টি চার এবং দু’টি ছয় দিয়ে সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস।
এই জয়ের ফলে নয় ম্যাচ থেকে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে পৌছে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দশ ম্যাচ থেকে সমসংখ্যক পয়েন্ট থাকলেও রান রেটের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ