মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন চালু হবে এ মাসেই সাবেক সেনা সদস্য হত্যায় ৯ জনের যাবজ্জীবন ইতা‌লি ভিসাপ্রার্থীদের যে বার্তা দি‌লেন পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা ময়মনসিংহে ‘চাঁদাবাজ’ রানাসহ ৬ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার নিরাপদ খাদ্য পেতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে ছয়দিন বন্ধ থাকবে সোনামসজিদ স্থলবন্দর টি-টোয়েন্টি থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণা শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানালেন ছেলে জয় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সব সদস্যের পদত্যাগ জামিন পেলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, কারামুক্তিতে বাধা নেই বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে: ড. ইফতেখারুজ্জামান শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকে প্রবেশনারি অফিসারদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স শুরু দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন মন্ত্রী-এমপিরা কার ইঙ্গিতে পালালো তাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন: ফারুক মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনেই চলবে হেলিকপ্টার! তাপসী তাবাসসুমকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ নেত্রকোণায় লাখ মানুষ পানিবন্দি, এক মৃত্যু আন্দোলন দমাতে অস্ত্র ব্যবহার, যুবলীগ কর্মী আরাফাত গ্রেপ্তার

শীতে কষ্ট পাচ্ছেন বুড়িগঙ্গার মাঝিরা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

মাঘের কনকনে শীতে হিমেল হাওয়ায় নিদারুণ কষ্টে আছেন বুড়িগঙ্গার ঘাট মাঝিরা। মৃদু বাতাস আর ভোর বেলার ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত মাঝিদের জীবন। বৈঠা হাতে নিয়ে অবিরাম ছুটে চলা এই মাঝিদের অর্ধেকেরও বেশি বসবাস করেন নৌকায়। রাত গভীর হলেই বৈঠা থেমে যাওয়ার পর নৌকার মধ্যে ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করেন অনেকেই। তখনই শুরু হয় শীতের তীব্র যন্ত্রণা। শীত মৌসুমে শহরের অন্যান্য অসহায় মানুষগুলো সাহায্য পেলেও এমন বৈরী পরিবেশে শীতার্ত মাঝিদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। গোটা বুড়িগঙ্গায় একটি কম্বলের জন্য হাহাকার চলছে।

বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের রহমত মাঝি জানান, আমাদের আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। নৌকায় থাকি, নৌকায় ঘুমাই। শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। রাতের বেলা ঠান্ডা লাগে বেশি, বাতাসের সাথে নৌকাও দুলতে থাকে। তখন আরো বেশি কষ্ট হয়।

তিনি আরো বলেন, এই শীতের মৌসুমে আমাদের কেউ কোনো কম্বল বা শীতবস্ত্র দেয় নাই। গত তিন বছর আগে একবার কম্বল পাইছিলাম এখন পর্যন্ত আর পাই নাই।

jagonews24

বাবুবাজার ঘাটের রফিক উদ্দীন মাঝি বলেন, ‘প্রতিবছর শীতেই অবস্থা খুব খারাপ থাকে। আমরা যামু কার দারে, আমাদের কেউ কিছু দেয়না। প্রতিদিন নৌকার মালিককে টাকা দিতে হয় এছাড়াও ঘাট মালিককেও টাকা দিয়ে আর খাওয়ার মতো টাকাও থাকে না। শীত নিবারণ করার মতো কোনো কিছু কিনতে পারি না। আমাগো দিকে তাকানোর মতো কেউ নাই।’

এভাবে কষ্টের কথা জানান বুড়িগঙ্গার ভাসমান মাঝিরা। তীব্র শীতে এই অসহায় মানুষগুলোর প্রতি তাকায়নি কেউ। সামর্থবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

jagonews24

ঘাট মালিকরা জানান, আমাদের কিছু করার নেই। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সাহায্য আসে না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাইলে কিছু সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্ত মাঝিদের সাহায্য করার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় না।

ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, আসলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। সরকার যদি তাদের জন্য কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতো তাহলে আমরা চেষ্টা করতাম। তাদের জন্য কোনো বাজেট নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ভালো হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com