বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
গাজীপুরে দিনব্যাপী ‘মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর সামিট-২০২৫’ মারা গেছেন সাবেক আইজিপি আজিজুল ৩ কোটি টাকা মূল্যের শো-রুমের গাড়ি নিয়ে লাপাত্তা : গ্রেপ্তার ৫ দেশের ইতিহাসে প্রথম গোয়েন্দা জাহাজ উন্মোচন করল ইরান প্রাথমিকে শিক্ষক বদলি শুরু, চলবে মার্চ পর্যন্ত ক্যান্সার আক্রান্ত গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নেওয়ার বিধান বাতিলের প্রস্তাব ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু তাবলিগ জামাতের সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা বান্দরবানে ৭ শ্রমিককে অপহরণ আলোচিত নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে কাজ করছে সরকার: আইজিপি জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর প্রয়োজনীয় সংস্কার বছরের মাঝামাঝিতে শেষ হবে না: সারজিস আলম হত্যাচেষ্টা মামলায় সালমান ও পলক ফের রিমান্ডে ১২ জেলায় রেজিস্ট্রার বদলির প্রস্তাব অনুমোদন ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড পুলিশ পরিচয়ে আ’লীগ কর্মীকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা সিরিয়া সীমান্তে কুর্দিদের নিয়ে তুরস্কের উদ্বেগ বৈধ: যুক্তরাষ্ট্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিল ৪ কমিশন

শীতে কষ্ট পাচ্ছেন বুড়িগঙ্গার মাঝিরা

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

মাঘের কনকনে শীতে হিমেল হাওয়ায় নিদারুণ কষ্টে আছেন বুড়িগঙ্গার ঘাট মাঝিরা। মৃদু বাতাস আর ভোর বেলার ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত মাঝিদের জীবন। বৈঠা হাতে নিয়ে অবিরাম ছুটে চলা এই মাঝিদের অর্ধেকেরও বেশি বসবাস করেন নৌকায়। রাত গভীর হলেই বৈঠা থেমে যাওয়ার পর নৌকার মধ্যে ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করেন অনেকেই। তখনই শুরু হয় শীতের তীব্র যন্ত্রণা। শীত মৌসুমে শহরের অন্যান্য অসহায় মানুষগুলো সাহায্য পেলেও এমন বৈরী পরিবেশে শীতার্ত মাঝিদের পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। গোটা বুড়িগঙ্গায় একটি কম্বলের জন্য হাহাকার চলছে।

বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের রহমত মাঝি জানান, আমাদের আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। নৌকায় থাকি, নৌকায় ঘুমাই। শীতে অনেক কষ্ট পাচ্ছি। রাতের বেলা ঠান্ডা লাগে বেশি, বাতাসের সাথে নৌকাও দুলতে থাকে। তখন আরো বেশি কষ্ট হয়।

তিনি আরো বলেন, এই শীতের মৌসুমে আমাদের কেউ কোনো কম্বল বা শীতবস্ত্র দেয় নাই। গত তিন বছর আগে একবার কম্বল পাইছিলাম এখন পর্যন্ত আর পাই নাই।

jagonews24

বাবুবাজার ঘাটের রফিক উদ্দীন মাঝি বলেন, ‘প্রতিবছর শীতেই অবস্থা খুব খারাপ থাকে। আমরা যামু কার দারে, আমাদের কেউ কিছু দেয়না। প্রতিদিন নৌকার মালিককে টাকা দিতে হয় এছাড়াও ঘাট মালিককেও টাকা দিয়ে আর খাওয়ার মতো টাকাও থাকে না। শীত নিবারণ করার মতো কোনো কিছু কিনতে পারি না। আমাগো দিকে তাকানোর মতো কেউ নাই।’

এভাবে কষ্টের কথা জানান বুড়িগঙ্গার ভাসমান মাঝিরা। তীব্র শীতে এই অসহায় মানুষগুলোর প্রতি তাকায়নি কেউ। সামর্থবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।

jagonews24

ঘাট মালিকরা জানান, আমাদের কিছু করার নেই। নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো সাহায্য আসে না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাইলে কিছু সহযোগিতা করতে পারেন। কিন্ত মাঝিদের সাহায্য করার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় না।

ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, আসলে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। সরকার যদি তাদের জন্য কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতো তাহলে আমরা চেষ্টা করতাম। তাদের জন্য কোনো বাজেট নেই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে ভালো হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com