বাংলা৭১নিউজ, কুড়িগ্রাম: দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের উত্তর ধরলার সীমান্ত ঘেঁষা ধরলা নদীবেষ্টিত উপজেলা ফুলবাড়ী। শাক-সবজির আড়তখ্যাত ফুলবাড়ী বাজারটি এখন ভরপুর শীত মৌসুমের শাক-সবজিতে।
শীত মৌসুম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি এখানে বাজারজাত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুরোদমে চলে পাইকারি দরে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির কেনাবেচা।
এখানে সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, আলু, মূলা, বেগুন, করলা, সিম, লাউ, গাঁজর ও শাকের মধ্যে লাউশাক, মূলাশাক, নাপাশাক, লালশাক, পাটশাক, পালংশাক, ধনেপাতা এবং কাঁচামরিচ পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার সরেজমিনে ফুলবাড়ী বজারে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষকের এসব শাক-সবজি কিনতে বিভিন্ন স্থানের খুচরা সবজি বিক্রেতারা ভিড় করছে শাক-সবজির দোকানে।
এখানে প্রায় ১ কেজি ওজনের ১টি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকায়, দেশী বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকায়, মূলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়, সিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, করলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, লাউ প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৫/২০ টাকায়, নতুন কাটিলাল আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, সাদাকাটি আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, ধনেপাতা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০/১২ টাকায়, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
এছাড়া লাউশাক, মূলাশাক, নাপাশাক, লালশাক, পাটশাক, পালংশাক এগুলো ২/৫ টাকায় প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে।
ফুলবাড়ী সদরের চন্দ্রখানা বালাটারী গ্রামের সিমচাষী সিরাজুল ইসলাম (৫২) বলেন, তিনি ২ বিঘা জমিতে সিমচাষ করেছেন। বাজারে পাইকারি দরে প্রতিকেজি সিম ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে তার ২ বিঘার জমির সিম থেকে খরচ বাদ দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হবে এমনটি আশা প্রকাশ করেন তিনি।
করলা বিক্রেতা নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের জোবেদ আলী (৫০) জানান, তার ৪৩ শতাংশ জমির করলা ক্ষেত তুলে তিনি ফুলবাড়ী বাজারে প্রতিকেজি ২০ টাকার দরে বিক্রি করছেন। ওই ক্ষেত থেকে করলা বিক্রি করে তার ৭০/৮০ হাজার টাকা আয় হবে এমন আশা করছেন তিনি।
একই ইউনিয়নের চরগোড়ক মন্ডপ গ্রামের বেগুন বিক্রেতা জাহেদুল হক (৩৮) জানান, তিনি কৃষকের ক্ষেত থেকে প্রতিমণ দেশী বেগুন ১৫০ টাকায় কিনে ফুলবাড়ী বাজারে পাইকারিভাবে ৫ টাকা হিসেবে মণপ্রতি ২০০ টাকা বিক্রি করছেন। দাম কম হলেও তিনি বেগুন বিক্রি করে ভালোই আয় করছেন বলে জানান।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গোড়কমন্ডপ, কুরুষা ফেরুষা ও ফুলমতি গ্রাম থেকে সিংহভাগ শাক-সবজি ফুলবাড়ী বাজারে আসছে। এছাড়াও ফুলবাড়ী সদর, শিমুলবাড়ী, বড়ভিটা, ভাঙ্গামোড় কাশিপুর এলাকা ও বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার কৃষকরা শাক-সবজি এখানে বিক্রি করছে। আমদানি প্রচুর হওয়ায় এখানে শাক-সবজির পাইকারি বাজারে দাম কমেছে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস