বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কিশোর বয়সে রাগ করে যে ছেলেটি ঢাকায় চলে এসেছিল, আজ সে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক।ব্রাক্ষনবাড়ীয়া সদর থানার শেরপুর গ্রামে ১৯৪৬ সালের ২ আগষ্ট শুক্রবার নানা বাড়ীতে লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা মো: ইয়াকুব আলী এবং মাতার নাম আমিরুন নেসা।
১৯৬৯ সালে ঢাকায় এসে খালার বাসায় আশ্রয় নেন।জীবিকার প্রয়োজনে চাকুরি নেন তিতাস বেকারিতে। এরই মাঝে পরিচিত হয়ে উঠেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সাথে।
১৯৭০ সালে ঢাকাতেই বিয়ে করেন মর্জিনা বেগমকে। এরপর ’৭০ এর নির্বাচন। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের কালো রাত্রি এবং নিজ বাসা থেকে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।
তারপরের ইতিহাস মহান মুক্তিযুদ্ধের। দেশের টানে লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। শুধু তাই নয়; বঙ্গবন্ধুর আদরের ছেলে শেখ জামালকে সাথে নিয়ে চলে যান আগরতলা।
জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে তিনি কীভাবে শেখ জামাল সহ আগরতলা পৌঁছান, দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু খোদ ফিরোজুর রহমানকে বাসায় ডেকে সেই গল্প শুনেছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধু পিঠ চাপড়িয়ে তার সাহসের প্রসংশা করেছিল।
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হায়নারা হত্যার পর লায়ন ফিরোজুর রহমান ওই সময় ধানমন্ডির মত জায়গায় জাতির পিতার চল্লিশা উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছিল। সে সময় অনেকেই তাকে মানা করেছিল, এধরণের আয়োজন না করতে। কিন্ত কোন বাধাই তাকে দমাতে পারেনি।
লায়ন ফিরোজুর রহমানের জীবনীতে বারবার উঠে এসেছে সেই মহিয়ষী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু রাসেলের কথা।এরা রয়েছেন তার অন্তর জুড়ে।আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তার আপন বোনের চেয়েও বেশি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য যে কোন ত্যাগ তিনি স্বীকার করতে প্রস্তুত।
কঠিন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে আসা লায়ন ফিরোজুর রহমান মানব সেবাকেই তার জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ বলে মনে করেন। এজন্য তিনি গড়ে তুলেছেন এফএম ফাউন্ডেশন ও ফিরোজুর রহমান জেনারেশন ট্রাষ্ট।
নিজ জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয়াতেও তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে টানা ২৫ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
এসব কিছু নিয়েই লায়ন ফিরোজুর রহমানের আত্মজীবনী খুব শীঘ্রই ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ হবে বাংলা৭১নিউজ ডট কম-এ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস