বাংলা৭১নিউজ, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সজিব অপহরণ ও হত্যা মামলার দুই আসামি র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- সবুজ ও শাকিল।
আজ ভোর পৌনে তিনটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শান্তিপাড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে তারা নিহত হন। বন্দুকযুদ্ধে শাহিন ও শামীম নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে র্যাব দাবি করছে।
নিহত সবুজ দামুড়হুদা উপজেলা শহরের হামিদুল ইসলামের এবং শাকিল একই এলাকার আব্দুল কাদের মন্ডলের ছেলে।
র্যাবের ভাষ্য, গতকাল মধ্যরাতে র্যাবের একটি দল টহলে বের হয়। ভোরে দলটি দামুড়হুদার দর্শনার শান্তিপাড়া এলাকায় পৌঁছলে কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে র্যাব সেখানে থেকে সবুজ ও শাকিলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও দুটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর উপ-পরিচালক মেজর মনির আহমেদ জানান, নিহত দুজনই দামুড়হুদার চাঞ্চল্যকর সজিব খুনের আসামি।
গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা বৃক্ষমেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা ভি জে স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মাহফুজ আলম সজিবকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দেয়ায় সজিবকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
অপহরণের ৩২ দিন পর ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেফটিক ট্যাংকি থেকে সজিবের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে র্যাব। পরে এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিবুল ১৬ সেপ্টেস্বর রাতে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস