বাংলা৭১নিউজ, এম এস এমরান কাদেরী, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ১০ বছরের মাদ্রাসা পড়–য়া ৩য় শ্রেণীর এক কন্যা শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৬২ বছর বয়সি অভিযুক্ত আবুল কালাম অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও কারাতে কুংফু বা মার্সাল আর্ট মাষ্টার বলেও জানা গেছে। ধর্ষণ চেষ্ঠার এ অভিযাগে স্থানীয় কিছু জনতা মিলে তাকে গণধোলাইসহ গলায় জুতার মালা পড়িয়ে লাঞ্চিত করেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। গত রবিবার (২৫মার্চ) বিকেলের দিকে উপজেলার সারোয়াতলী হাজীরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। এ নিয়ে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে সোমবার বোয়ালখালী থানায় মামলা রুজু করেছে। তবে অভিযুক্তের পরিবার এটিকে চক্রান্ত বলে দাবী করছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রবিবার বিকেলে উপজেলার হাজীরহাটের একটি টেইলার্সে কাপড় সেলাই করতে গেলে শিশুটিকে পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ডের মুফতি পাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মদের ছেলে আবুল কালাম ফুসলিয়ে হাজীরহাটস্থ তার অফিসে নিয়ে যায়। এরপর শিশুটির পড়নের জামা খুলে শরীরে বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিতে থাকে। ভয়ে শিশুটি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে ও আবুল কালামকে গণ ধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি হাজীর হাট এলাকায় গেলে আবুল কালাম প্রায় সময় টাকা পয়সা দিতো। এছাড়া নানা খাবার কিনে দিয়ে শিশুটির সাথে ভাব জমিয়ে এ ঘটনা ঘঠানোর চেষ্ঠা করেছে সে। আবুল কালাম উপজেলা কৃষি অফিসে প্লান্ট প্রোডাকশন মেকানিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে অভিযুক্তের পরিবার (স্ত্রী) ও স্বজনরা এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তিনি অবসর নেয়ার পর যে টাকাগুলো পেয়েছেন তা দিয়ে কিছু জায়গা জমি ক্রয় পূর্বক বিভিন্ন ক্ষেত খামার সহ কৃষি অফিসের অবসর প্রাপ্ত প্লান্ট প্রোডাকশন মেকানিক হিসেবে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্ঠা করে চলেছে। তার এ স্বাবলম্বী হওয়াকে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সইতে না পেরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরণের কুৎসা রঠিয়ে এলাকা ছাড়া করার পাঁয়তারাসহ তার সম্পত্তি জবর দখল করার ব্যর্থ চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি একজন সনদ প্রাপ্ত কারাতে কুংফু মাষ্টার হিসেবে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
মামলার বাদী শিশুটির পিতা জানান, আবুল কালাম হাজীর হাট এলাকার দিঘির পাড়ে একটি অফিস ঘর বানিয়েছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না গেলে বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারতো। তিনি শশুটিসহ পরিবার নিয়ে উপজেলার অলিবেকারি এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিমাংশু কুমার দাস রানা বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা রজু করা হয়েছে। ধৃত আসামীকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস