বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: রাজধানীর শাহজাহানপুরের রেলওয়ে মাঠসংলগ্ন পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছে আদালত।
আজ ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে এই চার্জগঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ১৮ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
চার্জগঠনকৃত আসামিরা হলেন, রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বেলা তিনটার দিকে শিশু জিহাদ পাইপের মধ্যে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে এই ঘটনা। রাতভর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হয়। পরদিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। এরপর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন জনৈক মজিদ, লিটু ও আনোয়ার। তাদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়।
ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। জিহাদের বাবার করা মামলায় চার মাসের মধ্যে ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল শাহজাহানপুর থানার এসআই আবু জাফর জাহাঙ্গীর আলম এবং শফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
তবে ওই ওই চার্জশিটের বিরুদ্ধে অপর চারজনও দায়ী বলে নারাজি দাখিল করলে ২০১৫ সালের ৪ জুন সিএমএম আদালত ডিবি পুলিশকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলাটি অধিকতর তদন্তের পর ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ডিবি পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান গত ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এন