পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ার শাজাহানপুরের পাঁচ বছরের শিশু রোমানকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ও চোপি নগর দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মাজেদ। রায়ের সময় তারা পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজা পান ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জহুরুল ইসলাম বলেন, রোমানের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামী খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে রোমানকে চকলেটের লোভ দিয়ে নিয়ে আনেন। এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে ৮ হাজার টাকা দেন খালেক ও মাজেদ।
পিপি আরও বলেন, খালেক ও মাজেদ রোমানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মরদেহ এলাকার এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেন। রোমান নিখোঁজের পর খালেকের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা স্বীকার করেন। তিনি মাজেদ ও রাজ্জাকের সম্পৃক্ততার কথাও জানান। তাদের দেয়া তথ্যে রোমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিও দিয়েছেন। সোমবার বিচারক খালেক ও মাজেদের মৃত্যুদণ্ড দেন। আর আব্দুর রাজ্জাকের যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর থেকে আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ পলাতক আছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ