ফুলবাড়িয়া উপজেলার দাওশা গ্রামে চার বছর বয়সের শিশু কন্যা মাহমুদা কে নির্মমভাবে কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মা নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মা নাজমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধার করে বিকালে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পুটিজানা ইউনিয়নের দাওশা গ্রামের হযরত আলী মেয়ে নাজমা আক্তারের বিয়ে হয় মুক্তাগাছা উপজেলার দাওগাঁও ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে রমজান আলীর কাছে।
স্বামী রজমান আলী মাদক ও জুয়া খেলায় আসক্ত থাকায় পাঁচ বছর আগে তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় দাওশা গ্রামে পিত্রালয়ে চলে আসেন। সেখানেই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
গত তিন বছর যাবত নাজমা আক্তার মানসিক রোগী। মাঝে মধ্যে তাকে বাড়িতে শিকল দিয়ে পায়ে বেঁধে রাখা হয়। গেলো তিন মাসে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো হলে পায়ের শিকল খুলে দেয় পরিবারের লোকজন।
বৃহস্পতিবার সকালে মাহমুদা নানার বাড়ির পাশে লতিফের উঠানে খেলা করিছল। এসময় মা নাজমা আক্তার কাঁচি দিয়ে নিজ মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। এসয় স্থানীয়রা তাকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
প্রতিবেশি হালিমা খাতুন বলেন, নাজম আক্তার প্রায় তিন বছর যাবত মানসিক রোগী।
ফুলবাড়িয়া থানার এসআই মো. হানিফ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মা নাজমা আক্তার পাগল, তিনমাস আগেও তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। কিছুটা ভালো হওয়ায় পায়ের শিকল খোলে দেওয়া হয়।
ফুলবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে দুপুরেই ঘাতক মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মচিমহায় মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ