বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: রোনালদোর মা দেলোরেসের ভাঁজ করে রাখা হাতে এক তোড়া পত্রিকা। ছেলেকে নিয়ে কী কী লিখেছে সব পড়তে হবে তো!
ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের মুখে হাসি। তার চেয়েও বড় চওড়া হাসি সিনিয়রের। দলে আরও তিনজন আছে, ঠিক চেনা গেল না। জানাও গেল না কোথায় চলেছেন এরা।
কাল ইনস্টাগ্রামে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে ছবিটা পোস্ট করেছেন, এর শিরোনাম হতে পারে একটাই: ‘আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি।’
এত দিনের শিরোপা-খরার মেঘের কোলে ট্রফির রোদ হেসেছে। ইউরোর ট্রফি নিয়েই দেশে ফিরেছেন রোনালদোরা। পর্তুগাল দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া সাধারণ মানুষের ভালোবাসা, যে মানুষ সেই ইউসেবিওর সময় থেকেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে একটা ট্রফির জন্য চাতক চোখে চেয়ে থেকেছে।
অবশেষে ঘুচল সেই অপেক্ষা। এবং সত্যি বলতে কি, তাতে রোনালদো মাঠের বাইরে থেকে ‘খেলে’ই জেতালেন দলকে!
নিন্দুকেরা কত কিছুই বলেন! এই রোনালদো অহমিকায় ভরা। এই রোনালদো আত্মকেন্দ্রিক। নিজের স্বার্থ ছাড়া কিচ্ছু বোঝেন না। কিন্তু তার সতীর্থরা, যারা রোনালদোকে একই ড্রেসিংরুমে পেয়ে তার আর সব সাধারণ ভক্তের মতোই রোমাঞ্চিত; তারা তো দিলেন অন্য খবর।
পেপে তাই ফাইনাল শেষেই বলে দেন, ‘আমরা ক্রিস্টিয়ানোর জন্যই খেলেছি।’ কারেসমা বলে দেন, ‘ওকে মানুষ কত ভুল চিনেছে!’ রোনালদো এমনই, ইউরোতে জেতা নিজের রুপালি বুটটা পর্যন্ত দিয়ে দিলেন নানিকে। মাঠে তার অনুপস্থিতিতে নানিই যে নেতৃত্ব দিয়েছেন!
এই রোনালদো এবার নিজের সন্তানকে নিয়ে, নিজে সন্তান হয়ে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গেলেন। এমন ছুটিতে আগে কখনো যাওয়া হয়নি তার।
অবকাশের ঠিকানা অজানা। তবে সাফল্যের ঠিকানা? রোনালদোর চেয়ে ভালো আর কে এখন জানে!
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস